তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার শেষদিন ছিল রোবাবর। তুরাগ তীরে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় জমায়েতের আখেরি মোনাজাতে বিশ্ব মানবতার কল্যাণ এবং দেশের শান্তি কামনা করেন লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মানুষ। ঐতিহ্যগতভাবেই বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতের দিন টঙ্গির তুরাগ পাড়ের লাখো মুসোল্লির সঙ্গে ঢাকাসহ সারাদেশের মানুষ এ সময় টিভির সামনে বসে পড়েন মোনাজাতে।
এমনকি প্রতিবছর আখেরি মোনাজাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ এবং গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশ নেন। তারা মোনজাত শুরুর অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে টিভির সামনে বসে থাকেন। দেশ ও জাতির কল্যাণ, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য দোয়া করেন।
এদিন শুধু ব্যতিক্রম ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি এদিন আখেরি মোনাজাতে অংশ নেননি। এ বিষয়ে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তার সঙ্গে। তিনি জানান, ‘সাধারণত কোন কাজ না থাকলে ম্যাডাম সকাল বেলায় উঠেন না। তাঁর সকল কাজেরই শিডিউল করা থাকে দুপুরের পর থেকে বা বিকেল থেকে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির মধ্যম সারির একজন কেন্দ্রীয় নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ইসলাম নিয়ে রাজনীতি করবেন কিন্তু ইসলামী কোন অনুশাসন মানবেন না এটা তো হতে পারে না।’ অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থেকে সকালে উঠবেন না। তাহলে রাজনীতি কেন করেন। অন্যরা যখন মাঠ গুছিয়ে ঘরে উঠেন তখন ম্যাডামের ঘুম ভাঙ্গে।’ তিনি আরো জানান, ম্যাডাম অন্ততপক্ষে আজকের দিনে যদি একটু সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে তার সদ্যপ্রয়াত সন্তান কোকো এবং স্বামীর জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া চাইতেন তাও দেশবাসী খুশি হতেন।’