রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়ে রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের আদেশ পাওয়ার পর যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে। রোববার (২১ এপ্রিল) বৈঠক শেষে এ তথ্য জানা যায়। একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুসারে, বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ বিষয়ক অফিস আদেশ স্থগিতের বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ পাওয়ার পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
অবশ্য বুয়েটের অফিস আদেশ স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের পর থেকেই বুয়েট প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায় থেকে এই বার্তা প্রদান করা হয়েছে। হাইকোর্টের এই রুলের পর থেকেই বুয়েটের উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার গণমাধ্যমকে জানান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপের বিষয়ে ভাবছে বুয়েট। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান জানান, অনেকের মধ্যে একটি বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে যে, আমরা বুয়েট কর্তৃপক্ষ আইনি প্রক্রিয়ার বাহিরে থাকতে চাচ্ছি। এটি আসলে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। আইনি প্রক্রিয়ার স্বাভাবিক গতিতেই আমাদের অবশ্যই রেসপন্স করতে হবে এবং আমরা করব।
সর্বশেষ একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকেও এই বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রম পুনরায় চালু করতে অতিদ্রুত নতুন করে পরীক্ষার শিডিউল প্রদান এবং সেই জন্য প্রতিটি বিভাগের প্রতিটি ব্যাচের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে শিক্ষকদের বৈঠকের মাধ্যমে নতুন তারিখ নির্ধারণের কথাও বলা হয় একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে।
[হাইকোর্টের আদেশ পাওয়ার পর রাজনীতি নিষিদ্ধ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপের ঘোষণা বুয়েটের]
তবে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিয়ে পরীক্ষার তারিখ পুনঃনির্ধার ও আইনি লড়াইয়ের ঘোষণা প্রদানের পরও কেনো বুয়েটের একটি গোষ্ঠি সাধারণ শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধের জন্য উস্কাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আসলে কোন দাবিরে প্রক্ষিতে এখনও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, সেটাও জানেন না বুয়েটের অনেক শিক্ষার্থী। বুয়েটে এখনও ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ কেননা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনও হাইকোর্টের আদেশের কপি হাতে পায়নি। এ প্রসঙ্গে বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান গণমাধ্যমকে জানান, এখনো ছাত্র রাজনীতি বুয়েটে নিষিদ্ধ। আমাদের ২০১৯ সালের অফিস আদেশ এখনও বলবৎ আছে, কেননা হাইকোর্টের রুলের কপি আমাদের কাছে আসেনি। এই কপি হাতে পেলেই আমরা আইনি প্রক্রিয়া শুরু করবো। বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি শুরু হয়ে যাচ্ছে বা কপি হাতে পেলেই শুরু হয়ে যাবে এমনটা নয়।
ছাত্র রাজনীতি চালু না হলেও বুয়েটকে কেন্দ্র করে কেনো এখনও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধের উস্কানি প্রদান করা হচ্ছে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুনঃ
বুয়েট সাংবাদিক সমিতির সেক্রেটারিসহ ৬ জন টাঙ্গুয়ার হাওরের এফআইআর ভুক্ত আসামী, কমিটি বিলুপ্ত
বুয়েটে পরীক্ষা বর্জনের ডাক দিয়েছে কারা?
নিরীহ মুসলিম ফিলিস্তিনিদের গণহত্যায় সমর্থন দিচ্ছেন মির্জা ফখরুল ও তার দল বিএনপি!