তারেক আর রাসেলের পর নতুন শিকারের সন্ধানে রুমিন ফারহানা

0
100

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রচেষ্টাকারী অলি আহাদের মেয়ে ব্যরিস্টার রুমিন ফারহানা সংসদে ও টকশোতে গিয়ে বড় বড় কথা বলেন, নীতিবাক্য ছাড়েন। অথচ তার জীবন অনৈতিক সম্পর্কে ভরপুর। সংসদে বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন বাগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রেও তারেক রহমানের সাথে অবৈধ সম্পর্কই সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে বলে জানা গেছে। এছাড়া কখনো পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যানের ছেলে রাসেলের সাথে, আবার কখনো পাকিস্তানের আইএসআই কর্মকর্তার ছেলের সাথে গড়ে তুলেছেন অবৈধ সম্পর্ক।

পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ হাসেমের পুত্র, আম্বার গ্রুপের চেয়ারম্যান শওকত আজিজ রাসেলের সঙ্গে রুমিন ফারহানার অন্তরঙ্গ ঘনিষ্ঠতা এখন সবার মুখে মুখে। ব্যক্তিজীবনে রুমিন ফারহানা নিজেকে অবিবাহিত দাবি করেন। তাহলে শওকত আজিজ রাসেলের সঙ্গে তার এ কেমন সম্পর্ক?

আবার অন্যদিকে শওকত আজিজ রাসেলের সঙ্গে বরাবরই ভালো সম্পর্ক তারেক জিয়ার। তারেক জিয়ার লন্ডনে আয়েশী জীবন যাপনের বেশিরভাগ অর্থের যোগান দেন আম্বার গ্রুপের এই চেয়ারম্যান। পাশাপশি একাদশ জাতীয় সংসদের তফসিল ঘোষণার পর যে বিএনপি সংসদেই আসতে চাচ্ছিলো না, সেই বিএনপিই সংরক্ষিত নারী আসনে কাকে মনোনয়ন দেবে তা নিয়ে তোড় জোর শুরু করে দেয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিভিন্নভাবে তুষ্ট করতে পারায় বিএনপির অনেক ত্যাগী নেত্রীদের পিছনে ফেলে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা মনোনয়ন বাগিয়ে নেয়।

বিএনপির রাজনীতি যেমন নষ্ট, লাম্পট্যে ভরপুর তেমনি রুমিন ফারহানা তারই এক প্রতীক। তারেক জিয়াকে রুমিন ফারহানার জন্য শওকত আজিজ রাসেলের অনুরোধ ও তারেক রহমানকে রুমিন ফারহানা অন্য উপায়ে তুষ্ট করতে পারায় বিএনপির অনেক ত্যাগী পরীক্ষিতদেরকে বাদ দিয়ে তাকেই তারেক জিয়া মহিলা সাংসদ হিসেবে মনোনয়ন দিয়োছিলো।

ছবিতে লাল দাগ দেওয়া লোকটির নাম সাইফ খান খালিদ যার পিতা পাকিস্তানি আইএসআই এর একজন কর্মকর্তা। আর মহিলাটি হচ্ছে আর কেউ নয় বিএনপি সাংসদ ব্যরিস্টার রুমিন ফারহানা। তিনি দীর্ঘদিন সাইফ খান খালিদের সাথে বিনা কলেমায় একই রুমে রাতের পর রাত যাপন করেছিলেন অর্থাৎ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন যেটিকে আবার অনেকেই লিভ টুগেদার বলে থাকেন।

ইদানিং বাংলাদেশের টিভি টকশোতে এই মহিলা জামাত বিএনপির পক্ষে ব্যাপকভাবে সরব হয়ে উঠেছেন। টিভি টকশোতে নীতিকথার ফুল-ঝুরি শোনাচ্ছেন! অথচ ছবিতে মদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা যাচ্ছে এই মহিলাকে! এসব চরিত্রহীন মহিলাদের মুখে নীতিকথা মানায়? এই বিএনপি নেত্রীই একবার বলেছিলেন যে, বিএনপি আর জামাত হচ্ছে একি মায়ের পেটের দুই ভাই। তাই ভাইয়ে ভাইয়ে কখনো বিরোধ হতে পারে না।

রুমিন ফারহানার এই অবৈধ প্রেমিকের বাবা একজন আইএসআই কর্মকর্তা। পাকিস্তানি আইএসআইয়ের বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের কথা নতুন ভাবে বলার কিছু নেই। অনুসন্ধানে জানা গেছে, রুমিন ফারহানার ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্টে লন্ডন থেকে টাকা জমা হয়। অর্থাৎ আইএসআই এবং বিএনপি-জামাত যৌথভাবে এই মহিলাকে ফান্ডিং করছে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারনার জন্যে!

এখন প্রতিদিন আমরা প্রতারক সাহেদের কথা বলছি, সাহেদ প্রতারক ভণ্ড এবং টক শোতে এসে সুশীল সেজেছেন, এই অভিযোগ করা হচ্ছে। তাহলে রুমিন ফারহানা কি? তিনিও তো টক শোতে জাতিকে জ্ঞান দেন। অথচ নিজেকে রেখেছেন অনৈতিক সম্পর্কে ভরা এক অন্ধকার জগতে।

comments

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here