দুর্নীতি মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বেগম জিয়ার মুক্তি এবং তারেকের লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয় নিশ্চিত করতে নতুন আইনজীবী হিসেবে যুক্তরাজ্যের লর্ড সভার সদস্য ও আইনজীবী লর্ড কার্লাইলকে নিয়োগ দিয়েছে তারেক রহমান। পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে লর্ড কার্লাইলের সাথে এক লাখ পাউন্ড চুক্তি হয়েছে। বাংলাদেশি টাকায় যা ১১৪ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে ওই পরিমাণ অর্থের অর্ধেক পরিশোধ করা হলেও বাকি অর্থ পরিশোধের জন্য তারেক রহমান দলের শীর্ষ নেতাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে শুরু করেছেন বলে দলের একাধিক সূত্র মারফত জানা গেছে।
জানা গেছে, আইনজীবী হিসেবে কার্লাইলকে নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসলে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভের সঞ্চার হয়। দলের অনেক নেতাই কার্লাইলকে নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে তারেক রহমানের দূরভিসন্ধির আশঙ্কা করেন। নেতারা আশঙ্কা করেছিলেন, নতুন আইনজীবী নিয়োগের কথা বলে তারেক রহমান অর্থ-সংস্থানের জন্য চাপ প্রয়োগ করবেন এবং এ থেকে তারেক রহমান অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করবেন। নেতাদের এমন আশঙ্কাই অবশেষে সত্যি হলো।
এ বিষয়ে কার্লাইলের অর্থ পরিশোধ সংক্রান্ত তারেক রহমানের অর্থ সংস্থান বার্তাপ্রাপ্ত বিএনপির একজন নেতা বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ দল ক্ষমতার বাইরে। দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য এমনিতেই আমাদের বরাবর আর্থিক সহযোগিতা দিতেই হচ্ছে। এরমধ্যে নতুন আইনজীবী নিয়োগ দেয়ার কথা বলে তারেক রহমান নতুনভাবে মোটা অংকের টাকার কথা বলেছেন। এ নিয়ে দলের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে।
টাকার পরিমাণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঠিক কতো টাকা করে চাঁদা নির্ধারণ করবেন তা এখনো স্পষ্ট করেননি। তবে এ বিষয়ে নেতাদের প্রস্তুত থাকার জন্য তাগিদ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, লর্ড কার্লাইল ব্রিটিশ হাউস অব লর্ডসের একজন সদস্য। এছাড়া রাজপরিবারের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। যিনি বিগত সময় বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যে সোচ্চারও ছিলেন। বিভিন্ন দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়ে ব্রিটিশ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য তিনি বেশ আলোচিত। সম্প্রতি বেগম জিয়ার মুক্তি এবং তারেক রহমানকে লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয় দেবার জন্য বিএনপি তথা তারেক তাকে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।