ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা তারেক জিয়া, তাঁর স্ত্রী ও কন্যার ব্রিটেনে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ ট্যাক্স অ্যাটর্নি নাইজেল পপলওয়েল। তাঁদের ল ফার্ম বার্জেস স্যামন এর মাধ্যমে জোবায়দা রহমান এবং জাইমা রহমানের নামে ব্রিটেনে স্থায়ী ভাবে বসবাসের দুটি আবেদন করা হয়েছে।
তাদের এই আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের নামে বিভিন্ন দেশে সাত মিলিয়ন পাউন্ড (বাংলাদেশি টাকায় ৭৭০ কোটি টাকা) সম্পদ রয়েছে। এই দুজনকে স্থায়ী ভাবে বসবাসের অনুমতি দিলে, তারা এই অর্থ ব্রিটেনে বিনিয়োগ করতে পারবে। এর ফলে ব্রিটিশ অর্থনীতি লাভবান হবে।
পেশায় জোবায়দা রহমান একজন চিকিৎসক হলেও লন্ডনে গৃহিনী হিসেবে বসবাস করছেন। অন্যদিকে জাইমা রহমান লন্ডনে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে পড়াশুনা সম্পন্ন করছেন। তাদের মতে, এই সম্পদ পৈতৃক এবং উত্তরাধিকার সূত্রে এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে লভ্যাংশ।
আইনজীবী নাইজেল পপলওয়েল বলেছেন, ‘সাতটি দেশে জোবায়দা ও জাইমা রহমানের বিনিয়োগ আছে বলে তারা তথ্য দিয়েছেন।’ তাঁর মতে, ‘এই দুজনকে পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি দিলে ব্রিটিশ অর্থনীতি মজবুত হবে।’
বারজেস স্যামন ট্যাক্স ফার্ম সূত্রে বলা হয়েছে, গত ১৩ ডিসেম্বর এই দুজনের স্থায়ী ভাবে ব্রিটেনে থাকার আবেদন ব্রিটিশ ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টে দেওয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ আইন অনুযায়ী, একজন বিদেশি বৈধভাবে টানা দশ বছর ব্রিটেনে বসবাস করলে তিনি স্থায়ী আবাস অধিকার লাভের জন্য আবেদন করতে পারেন। অধিকাংশ বাঙালি এই সুযোগ নিয়ে থাকে। তবে, কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তাঁকে এই সুযোগ দেওয়া হয় না। তাঁকে ব্রিটেনের প্রতি পূর্ণ আনুগত্য স্বীকার করতে হয়।
উল্লেখ্য, ‘বিদেশে জিয়া পরিবারের কোনো অবৈধ সম্পদ নেই বলে বিএনপি নেতৃবৃন্দ দাবি করছেন। এখন ব্রিটেনে জমা দেওয়া ডকুমেন্টে জিয়া পরিবারের দুই সদস্য ৭৭০ কোটি টাকার সম্পদের কথা স্বীকার করল। জোবায়দা আর জাইমার জন্য ব্রিটেশ নাগরিকত্বের আবেদন করা হলেও তারেক জিয়া কোনো নগরিকত্বের আবেদন করেননি।