একজন অহংকারী মহিলা খালেদা জিয়া

0
3
‘ঠিক আভিজাত্যবোধ বলে কিনা এটাকে জানি না, তবে তিনি বেশ অহংকারী এবং বদরাগী মহিলা এই কথা নি:সন্দেহে বলা যায়। সাধারণ মানুষকে ঠিক মানুষের পর্যায়ে তিনি মনেই করেন না।’ বিএনপি চেয়াপার্সন সম্পর্কে এমন করেই আক্ষেপ করছিলেন বিএনপির একজন একনিষ্ঠ কর্মী এবং একটি বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলের সিনিয়র ক্যামেরাপার্সন।
তিনি যেহেতু একটি টিভিতে চাকরি করেন তাই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হিসেবে কথা বলছিলেন আমাদের সঙ্গে। বেগম জিয়ার রায় পরবর্তী প্রতিক্রিয়া তার কাছে জানতে চাইলে বলেন, ‘…. বুড়ি মহিলার শিক্ষা হওয়া উচিত। এই বয়সেও যদি শিক্ষা না হয় তবে আর কখনোই হবে না।’
কেন তার উপর এমন ক্ষেপলেন জানতে চাইলে বলেন, ‘ভাই আমি তো চাকরি করি। তার আগে আমি বিএনপির একজন কর্মী ছিলাম। সব মিছিল মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতাম। এখনো সময় পেলে বিএনপির জন্য কাজ করি বা মাঠে থাকি। তো স্বাভাবিকভাবেই দলীয় প্রধান সামনে থাকলে তার কাছে যেয়ে একটা সালাম দেয়ার ইচ্ছে সবারই হয়। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে, আমরা তা পারি না।’
তিনি জানান, ২০১৬ সালের রোযার ঈদের দিন ম্যাডাম বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সবার সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করছিলেন। আমি সেদিন আমার চ্যানেলের হয়ে ম্যাডামের অ্যাসাইনমেন্ট কাভার করতে গিয়েছিলাম।’ তিনি আক্ষেপ করে জানালেন, ভাই আমরা তো বিএনপি করি। আমাদের একটু শখ হয় ম্যাডামের সাথে সালাম দিয়ে তার সাথে ছবি তোলার।’
যেহেতু সাংবাদিকতা করছি তাই একা একা ছবি না তুলতে চেয়ে সেদিন উপস্থিত সব ক্যামেরা পার্সনরা ম্যাডামের সাথে আমরা যারা বিএনপি বিট করি সবার একটা গ্রুপ ছবি তোলার ইচ্ছের কথা জানালাম শিরিন আপার ( শিরিন সুলতানা) কাছে। উনি ম্যাডামের বিশেষ সহকারী  শিমুল ভাইকে (শিমুল বিশ্বাস) জানালেন।
একটু পর দেখলাম শিমুল ভাই ম্যাডামের কানে কানে কি যেন বলছেন। ম্যাডামকে বিরক্ত হয়ে তাকে কি যেন বলতে দেখালাম। আমরা দূর থেকে কিছু বুঝতে পারিনি। একটু পরে শিরিন আপা এসে আমাদেরকে বললেন, ম্যাডাম আজ কারো সাথে ছবি তুলবেন না।’
এর কিছুদিন পর অন্য এক অ্যাসাইনমেন্টে যেয়ে সেদিনের ঘটনা সম্পর্কে শিমুল ভাইকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম সেদিন ম্যাডাম ক্যামেরা পার্সনদের সাথে ছবি তোলার অনুরোধ করার কারণে শিমুল ভাইকে বকেছেন। তিনি জানিয়েছিলেন, শিমুল তুমি কি পাগল হয়েছো, আমি ক্যামেরা ম্যানদের সাথে ছবি তুলবো?
তিনি আক্ষেপ করে বলছিলেন, অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখেন, উনি তার দলের নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে সাংবাদিক বা ক্যামেরা পার্সনদের সাথে গ্রæপ ছবি শুধু না, তার কাছে কেউ আবদার করলে সিঙ্গেল ছবিও তুলেন।
সবার সাথে আন্তরিকভাবে মিশতে পারেন। এখানেই ম্যাডামের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পার্থক্য। শেখ হাসিনা মানুষের সাথে যত সহজে মিশতে পারেন আমাদের ম্যাডামকে এই যোগ্যতা অর্জন করতে হলে নিশ্চয় আর একবার জন্মাতে হবে।

comments

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here