বেগম খালেদা জিয়া ওরফে পুতুল একজন সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে হলেও যখন পাকিস্তানী তরুণ সেনা কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানের সাথে বিয়ে হয় তখন থেকেই মূলত বিলাসী জীবন-যাপনে তিনি অভ্যস্ত হয়ে পরেন। পার্টি, ক্লাব, শপিং এবং দামি মেকাপ বক্স তখন থেকেই সুন্দরী খালেদা জিয়ার নিত্যদিনের অভ্যস্ততায় পরিণত হয়। তাকে কখনোই বিলাসী জীবন যাপন থেকে দূরে থাকতে হয়নি। এমনকি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ও তিনি ক্যান্টনমেন্ট থেকে তার বিলাসী জীবন যাপন ত্যাগ করে বের হননি।
তার স্বামী জিয়াউর রহমান এক সময় সেনাপ্রধান সেখান থেকে সামরিক শাসকের উর্দি পরে রাষ্ট্রপতি সব হয়েছেন। বেগম জিয়া নিজেও বেশ কয়েকবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তাই তার ফ্যাশন এবং লাইফ স্টাইল অন্যদের তুলনায় একটু আলাদা।
গত ৮ই ফেব্রুয়ারী জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় আদালত ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠায়। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি চেয়ারার্সন হওয়াতে তার সামাজিক মর্যদা বিবেচনা করে কারাগারে তাকে উন্নত সব সুযোগ সুবিধাই দেয়া হচ্ছে। কিন্তু বেগম জিয়া যে ধরনের লাইফ স্টাইলে অভ্যস্ত তার তুলনায় কারাগারের দেয়া সুযোগ-সুবিধা একেবারেই নগন্য বলে তিনি বার বার কারারক্ষীদের তিরস্কার করেছেন।
বেগম জিয়াকে ঢাকা পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি বিশেষ বিল্ডিং এ রাখা হয়েছে। ভবনটি কারাগারের তুলনায় যথেষ্ট উন্নত হলেও সেটা খালেদা জিয়ার সঙ্গে যায় না বলে তার আইনজীবীরা বার বার অভিযোগ করেছেন।
বেগম জিয়ার কারারক্ষীদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তিনি এখানে সাধারণ বাথরুম থাকায় গোসল করতে তার কষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। তিনি নিয়মিত বাথটাবে গোসল করে অভ্যস্ত তাই এখানে এমন বাথরুম কেন দেয়া হয়েছে তাকে তা নিয়ে তিনি রাগারাগি করছেন সম সময়। তিনি আরো জানান, ওই বাথরুমে কমোড থাকলেও তা বেগম জিয়ার পছন্দ না বলেও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তিনি আরো জানান, ম্যাডাম আসলে বাংলাদেশের কোন সাধারণ পানি খান না। তাকে বিদেশী বিশেষ মিনারেল ওয়াটার দিতে হয়। কিন্তু কারা বিধি অনুযায়ী ভিভিআইপি বন্দীরাও তেমন পানি পান না। কিন্তু তার উন্নত মানের বিদেশী ইভিয়ান মিনারেল লাগবেই। তা না হলে তিনি পানি খান না।