আজ রবিবার রাত সাড়ে ৮ টায় গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলার রায়কে সামনে রেখে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির ‘জরুরি’ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
গত ২৫ জানুয়ারি রায়ের তারিখ ঘোষণার দুই দিন পর স্থায়ী কমিটির সঙ্গে এক দফায় বৈঠক করেন খালেদা জিয়া। পরদিন তিনি বৈঠক করেন ২০ দলের শরিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে। রায় বিএনপির বিরুদ্ধে গেলে দলের কর্মসূচি কী হবে, এসব নিয়েই আলোচনা হয়েছে প্রতিটি বৈঠকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক স্থায়ী কমিটির সদস্য জানান, আজকের আলোচনার এক পর্যায়ে খুব ভেঙ্গে পড়েন খালেদা জিয়া। তারেককে উদ্দেশ্য করে খালেদা বলেন, তার জন্যেই আজ আমার এই অবস্থা। আজ যদি আমি তার কথা না শুনতাম তাইলে কি আমাকে এভাবে জেলে যাওয়া লাগতো? এই কথায় সভাকক্ষে নেমে আসে পিন পতন নিস্তব্ধতা। এক পর্যায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অনেক সিনিয়র নেতাই দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এইসব দুর্নীতিমূলক কাজের সমালোচনা করেন। দলের এই ভঙ্গুর অবস্থার জন্য তারেককে এককভাবে দায়ী করেন তারা।
ওই বিএনপি নেতা আরো বলেন, চেয়ারপারসন জেলে গেলে কীভাবে কি হবে, দল কীভাবে চলবে, সব রকম প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। ৮ তারিখ রায়ের আগে সম্ভাব্য সব কিছু ভেবেই সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করবে ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ আদালত। এ রায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন সাজা হতে পারে। এ মামলায় খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন—মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।