৮ই ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের দিন। দিনটি ঘিরে বিএনপি নিচ্ছে নানা সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনা। সেদিন দলটির চেয়ারপাসন খালেদা জিয়ার জেল হয়ে গেলে কে হবেন দলের পরবর্তী নীতি নির্ধারক তা নিয়ে চলছে আলোচনা। আর এই আলোচনায় নতুন মাত্রা দিয়েছে মউদুদ আহমেদের দলের প্রধান হওয়ার খবর।
বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের চেয়ারপারসনের অনুপস্থিতিতে দলটির দায়িত্ব পাবেন দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। কিন্তু তারেক রহমানের দেশ থেকে পালিয়ে থাকা, লন্ডনে আয়েশি জীবন, জুয়া খেলা নেশায় পরিনত করা, এবং দলের সিনিয়র নেতাদের মূল্যায়ন না করা নিয়ে দলের একটা বড় অংশ তারেক রহমানের উপর বিএনপির দায়িত্ব দিতে চান না। বহু বাক বিতন্ডা এবং যুক্তি তর্কের পর দলের চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া মেনে নিয়েছেন দলের সিনিয়র নেতাদের কথা। তবে কে হচ্ছেন পরবর্তী নেতা সে নিয়ে আলোচনা আসার সাথে সাথে ফখরুল ও রিজভির নাম আসে। কিন্তু দলের অনেক নেতা এবং খালেদা জিয়া নিজেও তাদের কে দায়িত্ব দিতে রাজি হচ্ছে না। একদিকে ফখরুল পন্থি অন্য দিকে রিজভি পন্থি নেতারা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আছে। তবে দলের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, পরবর্তী দলের শীর্ষ নেতা হচ্ছেন মউদুদ এমন একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে আসছেন খালেদা। আজ রাতের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ ব্যপারে আলাপ আলোচনা হবে।
এদিকে দলের একটা অংশ মনে করে, দলটি ভাঙ্গনের শেষ পর্যায়ে এসে পৌছেছে। দলটির নেতা খালেদা অনেক চেষ্টা করছেন ভাঙ্গন ঠেকাতে। কতটুকু তিনি সফল হবেন সে ব্যাপারে নেতা কর্মীরা আছে ধোয়াশায় এবং বিএনপির দল হিসেবে টিকে থাকা না থাকা নির্ভর করছে খালেদার অবর্তমানে কে দলের প্রধানের দায়িত্ব পাচ্ছেন তার উপর । তবে দলের পরবর্তী চেয়ারপাসন যে মউদুদ হচ্ছেন সেটা নিশ্চিত করেছে নির্ভযোগ্য সূত্রটি।