যেদিন ঘোষনা এলো ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দূর্নীতি মামলার রায় দিবে আদালত, সেদিনের পর থেকে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়ে আসছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল এবং দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি। সূত্রমতে, দলের চেয়ারপারসনের জেল হয়ে গেলে কে পাবেন দ্বায়িত্ব এ নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়াচ্ছেন তারা।
সূত্র আরো জানায়, বিএনপির সিনিয়র নেতারা কেউই তারেক কে দলের দ্বায়িত্ব ভার দিতে নারাজ। তারা বিকল্প নেতৃত্ব খুজছে। সেক্ষেত্রে এই একাংশর মধ্যেও শুরু হয়েছে গ্রুপিং। এক গ্রুপ মনে করে দলের চেয়ারপারসনের জেল হলে মির্জা ফখরুল কেই দেয়া উচিত দলের দ্বায়িত্ব। অন্য আর এক গ্রুপ রিজভির উপর আস্থা রাখতে চাইছেন। অন্য দিকে মহানগর ও কিছু আইনজীবী মিলে একাট্টা হচ্ছেন, তারা ব্যারিস্টার মওদুদ কে চাচ্ছেন দলের নেতা হিসেবে। এদিকে কিছুদিন আগে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় খবর ছাপে, ভাঙ্গছে বিএনপি। তৃণমূল বিএনপি নামে আসছে নতুন দল। আবার বিএনপির একাধিক নেতা তারেকের নেতৃত্ব প্রকাশ্যে অস্বিকার করছেন। গ্রুপে দ্বন্দে খন্ড খন্ড হচ্ছে বিএনপি। বিএনপি চেয়ারপাসন কোন ভাবেই দলকে সংগঠিত রাখতে পারছেন না। দলের এক সিনিয়র নেতার সাথে কথা হলে তিনি জানান, চেয়ারপারসন যাকে দিবেন তাকেই মেনে নিতে হবে। তবে দলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা তারেক রহমান কে দলের দ্বায়িত্ব না আনাই উত্তম, ৭ বছর জেল মাথায় নিয়ে ফেরার হওয়া দূর্নীতিপরায়ন কাউকে দলের দ্বায়িত্বে আনা উচিত হবে না এটা নিশ্চয়ই ম্যাডাম উপলব্ধি করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে মির্জা ফকরুল পারফেক্ট, তার মত ক্লিন ইমেজের লোক আর নেই বিএনপিতে বলে মন্তব্য করেন এই নেতা। একাংশ ফকরুলকে চাইলেও আর এক অংশ চাচ্ছে রিজভি কে। প্রকাশ্যে দ্বন্দ চলে আসায় বিপাকে পড়েছে দল, দলের নেতারা।