আসছে ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দূর্নীতি মামলার রায় দিবে আদালত। আদালতের রায় যা আসবে সেটা জানা যাবে সেদিনই। তবে বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ মউদুদ আহমেদের কাছ থেকে আগেই জেনে ফেলেছে খালেদা জিয়া যে আসলেই এতিমদের টাকা আত্মসাৎ করেছে তার যথেষ্ট প্রমাণ আদালতের কাছে রয়েছে। কাজেই এই মামলায় খালেদার শাস্তি হওয়াটাই স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে রায়ে খালেদার সাজা হতে যাচ্ছে ধরে নিয়েই নাশকতার দিকে যাওয়ার পূর্ব প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি।
বিএনপির একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, রায় প্রতিকূলে গেলে দেশব্যাপি অরাজকতা সৃষ্টির নির্দেশ দিয়ে রেখেছে দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান। যিনি ৭ বছরের জেল মাথায় নিয়ে লন্ডনে পলাতক আছেন। খালেদার জেল প্রায় নিশ্চিত এমন মনে করছে দলটির একাধিক নেতারা। আর তাই তারা একটা শেষ মরন কামড় দেয়ার চেষ্টায় লিপ্ত। এমন খবর নিশ্চিত করেছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে ডিএমপির এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন- বিএনপি যদি ৮ই ফেব্রুয়ারি ঢাকায় কোন রকম অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করে তবে পুলিশ বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে একশনে যেতে প্রস্তুত। এমন নির্দেশনা এসেছে সরকার শীর্ষ পর্যায় থেকে। ডিএমপির একাধিক কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে এ ব্যাপারে নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে। তারা বলেছেন ৮ই ফেব্রুয়ারি হাইকোট প্রাঙ্গনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন ও সারা ঢাকা শহরে সকল থানাকে এলার্ট থাকার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। কোন রকম অরাজকতা কিংবা নাশকতার আসংখা দেখা দিলেই পুলিশ বাহিনী সাথে সাথে একশনে যাবে।
এদিকে খালেদার দূর্নীতির রায় নিয়ে যদি কোনরকম অরাজকতার চেষ্টা করে তবে তা রাজপথে প্রতিহত করার ঘোষনা দিয়েছে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। আওয়ামী লীগের এক নেতা জানিয়েছেন- বিএনপি কে কোন রকম ছাড় দেয়া হবে না, রাজপথে হবে মোকাবেলা। আমরা প্রস্তুত আছি যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায়। এদিকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের এক সংবাদ সম্মেলনের থেকে ডাক দেয়া হয়েছে ফেব্রুয়ারির ৭,৮,৯ তারিখ কর্মীদের মাঠে থাকার। তেমনই প্রস্তুতি নিয়েছেন নেতা কর্মীরা। একই সাথে দেশ জুড়ে যেখানেই বিএনপি নাশকতার চেষ্টা করবে সেখানেই প্রতিহত করার জন্য কেন্দ্র থেকে তৃণমূল নেতা কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় সতর্ক অবস্থায় থাকার কথা বলা হয়েছে নেতা কর্মীকে।