আসছে ৮ই ফেব্রুয়ারি। ওই দিন ঘোষণা করা হবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আলোচিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়। রায়ে খালেদার সাজা হবে ধরে নিয়েই প্রস্তুত হচ্ছে বিএনপি।
দলের নেতারা মনে করেন, খালেদার সাজা ও নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষিত হলে অস্তিত্বের সংকটে পড়বে বিএনপি। এ অবস্থায় শেষ চেষ্টা করা ছাড়া দলটির সামনে আর কোনো বিকল্প নেই। একটা মরণ কামড় দিতে প্রস্তুত হচ্ছে তারা। আর এসব হচ্ছে দলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে। লন্ডনে বসে কলকাঠি নাড়ছেন তিনিই। পুত্রের পরিকল্পনায় সায় আছে খালেদা জিয়ারও। দীর্ঘ ১০ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ সময় অতিক্রম করছে। ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন ও মানুষ পোড়ানো আন্দোলন খাদের কিনারে নিয়ে গেছে দলকে। এই অবস্থায় আবার খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায়। এ রায় বিএনপিকে খাদে ফেলে দেয়ার শেষ ধাক্কা মনে করছে দলের শীর্ষ নেতারা। খালেদা জিয়ার বিপক্ষে রায় গেলে হার্ডলাইনে যাওয়ার পক্ষে দলের তৃণমূল নেতারাও। ঢাকার বাইরের নেতাদের কেউ কেউ ইতোমধ্যে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে তাদের মনোভাবের কথা জানিয়েও গেছেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ সাজা হবে এমনটা মাথায় রেখেই প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। চেয়ারপারসনকে জেলে নেয়া হলে দল কীভাবে পরিচালিত হবে, সে ব্যাপারে আগেভাগেই পুরোপুরি প্রস্ততি নেয়া হচ্ছে। তবে নির্দেশনা থাকবে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। এ বিষয়ে তারেক রহমানের সঙ্গে একান্ত আলাপ করে যৌথ নেতৃত্বে দল পরিচালনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছেন খালেদা জিয়া। তবে খালেদার এই মতের সাথে অনেক নেতাই একমত নন। তারা তারেক কে দলের ভার দিতে এখনই রাজি নয়। সেক্ষেত্রে আলাদা একটা নেত্বৃতের প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে নেতারা। যদি তাদের প্রস্তাব না মানে খালেদা তবে দল ভেঙ্গে নতুন দল গঠনের জন্যও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে একাধিক নেতা।