বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের তারিখ করার পর থেকেই দলটি নানামুখী তৎপরতা শুরু করেছে। বিদেশিদের কাছে মূলত খালেদার জেল ঠেকাতেই ধরনা দেয়া হচ্ছে বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে।
গত ৩০ জানুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠক করেছেন দলটির সিনিয়র নেতারা। সেখানে তারা মামলার বিষয়টি কূটনীতিকদের অবহিত করেন এবং এ নিয়ে বিএনপির উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন।
কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের সরাসরি ও সুনির্দিষ্ট জবাব এড়িয়ে যান। তবে দলটির এক সিনিয়র নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন যে, দেশে বিএনিপির শীর্ষ নেতারা প্রায় প্রতিদিনই একাধিক কুটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। আর দেশের বাহিরে কিছু লবিস্টও নিয়োগ করা হয়েছে যারা বিভিন্ন দেশে বিএনপির নেতা হিসেবে পরিচিত। তারা বিদেশ থেকে সরকারকে চাপ দিতে কাজ করে যাচ্ছেন।
দলটির একাধিক নেতারা মনে করেন রাজপথে আন্দোলন করে কিছু হবে না। খালেদা জিয়ার দূর্নীতি প্রমান হয়ে গেছে, তার জেল ঠেকানো সম্ভব না। এক কুটনীতিকরাই পারে সরকারকে চাপ দিয়ে মামলা খারিজ করে দিতে। তবে নেতাদের প্রশ্ন কর জয় দলের চেয়ারপারসনের জেল হলে কাকে চান তারা দলের দ্বায়িত্ব। অনেকেই উত্তর দিয়েছেন তারা তারেক রহমান কে চায় না, সেক্ষেত্রে তাদের পছন্দ মীর্জা ফকরুল।