বিএনপি বা এর কোন অঙ্গসংগঠনের কোন জেলা শাখার কমিটি রিজভী ভাইয়ের পকেটে টাকা না গেলে পদ পাওয়া যায়না’ আক্ষেপের সুরেই এমন কথা বলতে বলতে ফুসছিলেন উত্তরবঙ্গের একটি জেলার বিএনপির রাজনীতি করেন এক লোক। তার পরিচয় জানতে চাইলে বললেন, তবে শর্ত জুড়ে দিলেন পত্রিকায় লিখতে পারেন আমার কথা কিন্তু দয়া করে নাম দিয়েন না। বুঝেনই তো রাজনীতি করি। জলে বাস করে কুমিরের সাথে ঝামেলা করে বাস করতে পারবো না।
তাঁর কাছে এমন মন্তব্যের কারণ জানতে চাইলে বলেন, আমার জেলা কমিটি গঠনের দায়িত্বে ছিলেন রিজভী ভাই। তিনি আমার কাছে সাধারণ সম্পাদক পদ দিয়ে দিবেন বলে নগদ ৫ লাখ টাকা অগ্রিম নিয়েছেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি আমার জেলার আরো ৫ জনের কাছ থেকে তিনি এভাবে ৫-৭ লাখ টাকা অগ্রিম নিয়েছেন।
রিজভীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের সত্যতা নিয়ে আমাদের অনুসন্ধ্যানী টিম কাজ করতে থাকে। প্রথমমেই আমরা রিজভীর কাছে এই অভিযোগের সত্যতা জানতে চাইলে তিনি বলেন, শাসক দল আওয়ামী লীগ আমার বিরুদ্ধে এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিএনপির কোন নেতা-কর্মী যদি ঈমানদার হয় তবে তারা আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করতে পারবে না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে, রুহুল কবির রিজভী বিএনপির সিনিয়র যগ্ম মহাসচিব হলেও দলের দপ্তরের দায়িত্ব পালন করেন। যদিও দপ্তর সম্পাদক পোষ্ট তার পদের থেকে ছোট কিন্তু তিনি সেই দায়িত্ব হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানান। লন্ডনে তারেক রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়াকে ম্যানেজ করে তিনি এই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
বিএনপির মাঠের নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে তিনি শুধু বিএনপি না এর কোন অঙ্গসংগঠনের জেলা কমিটি গঠন করতে ৫-৭ জনের কাছ থেকে গড়ে ৭-৮ লাখ টাকা নেন। রিজভী কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতা হওয়াতে কেউ তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খোলারও সাহস পান না।
বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের অামলে রুহুল কবির রিজভী রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই সময়েও তিনি ব্যাংকে চাকরি দেয়ার নাম করে মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।