যোগ্যতা কিংবা জনপ্রিয়তার বিচারে নয় বরং তারেক রহমানকে টাকা দিয়েই মনোনয়ন পেয়েছেন তাবিথ আউয়াল। লন্ডন থেকে তাবিথকে প্রার্থী করা হয়েছে। জোট তো দূরের কথা বিএনপিতেও এ নিয়ে কোন আলোচনা হয়নি।
দুনিয়াজুড়ে পানামা পেপারস কেলেঙ্কারীতে জড়িতরা যখন ক্ষমতা এবং রাজনীতি থেকে বিতাড়িত হচ্ছে তখন বিএনপি এমন একজনকে মেয়র প্রার্থী করলো যার পুরো পরিবার অর্থপাচার সহ বিভিন্ন লজ্জাজনক কাজে জড়িত’ এমন কথা আক্ষেপের সুরে বললেন ঢাকা উত্তরের মনোনয়ন প্রত্যাশী বিএনপির বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন। তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে একে রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা বলে অভিহিত করেছেন।
গত বছরের জুলাই মাসে লন্ডন যান খালেদা জিয়া। তখন লন্ডনে অবস্থানকালীন সময়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে একাধিকবার সাক্ষাৎ করেন ব্যবসায়ী নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু। তিনি ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে তার পরিবারকে ভালো পদ-পদবী এবং সুযোগ সুবিধা দিতে তারেক রহমানকে ১০০ কোটি টাকা প্রদান করেন।
চিকিৎসার নামে লন্ডন যাওয়া খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যই ছিল বিএনপির জন্য বিশাল পরিমাণের একটি তহবিল গঠন করা। জানা যায়, খালেদা জিয়া লন্ডন থাকাকালীন সময়ে বিএনপি নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু তার ছেলে তাবিথ আউয়ালের ভবিষ্যৎ রাজনীতিকে মসৃণ করার জন্য কম করে হলেও ৪ বার লন্ডন সফর করেন।
পানামা পেপারস থেকে প্যারাডাইস পেপারস সব জায়গায় নাম আছে তাবিথ আউয়াল সহ তার পুরো পরিবারের। এতো অপকর্ম, এতো অপরাধ থাকার পরেও বিএনপির কোন ক্লিন ইমেজের নেতাকে মেয়র প্রার্থী না করার পেছনে মূলত এই আর্থিক লেনদেনই মূল কারণ হিসেবে দেখছে বিএনপির অনেক শীর্ষ স্থানীয় নেতা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক সিনিয়র নেতা বাংলাদেশ টাইমসকে জানান, খালেদা ও তারেক মূলত টাকার বিনিময়েই এই পদ বাণিজ্যগুলো করে থাকেন। এ জন্যে দলের অনেক ত্যাগী নেতারা পদবঞ্চিত হয়ে চিরতরে রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়ছে।
তাবিথ আউয়ালের মনোনয়ন রাজনীতি থেকে ত্যাগী ও যোগ্য নেতা যারা মাঠে সব দু:সময়ে থাকে তাদেরকে নির্বাসন করার প্রক্রিয়া হিসেবে দেখছেন অনেক বিএনপি নেতা-কর্মী। বিএনপি ঘরানা রাজনীতিতে এখন একটা কথাই ঘুরে ফিরে আসছে, রাজনীতি করতে হলে টাকা দিতে হবে। না হলে জিয়া পরিবারের সুনজরে থাকা সম্ভব না।