আজ ৩১ ডিসেম্বর রবিবার দুপুরে গুলশানে খালেদার বাড়ির সামনে থেকে ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী সহ-সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক এপিএস মতিনকে ১৫ বোতল বিলেতি মদসহ গ্রেফতার করেছে সাদা পোশাকের পুলিশ।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, আজ দুপুর ২টার দিকে একটি সাদা রঙের গাড়ি প্রবেশ করে গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কে, গাড়িটি এসে দাঁড়ায় ‘ফিরোজা’ নামক বাড়িটির উলটাপাশে। গাড়ি থেকে নেমে আসে খালেদার সাবেক এপিএস মতিন, প্রতিদিনের মত আজও চেক করা হচ্ছিলো গাড়ি, আর এতেই চোখ ছানাবরা হয়ে যায় কর্তব্যরত পুলিশের। গাড়ির পিছনের সিটের নীচ থেকে একে বের করে আনা হয় প্রায় ১৫টি বিলেতি মদের বোতল। এরপর তাকে নিয়ে গুলশান থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে মতিন জানান, “আজকে ইংরেজি নববর্ষ কে স্বাগতম জানানোর জন্য একটা ঘরোয়া পার্টির আয়োজন করেছে বিএনপি চেয়ারপারসন। সেখানে আমাদের দলের সিনিয়র নেতারাও থাকবেন। প্রতিবারই থার্টি ফার্স্টের রাতে ম্যাডামের জন্য স্পেশাল মদ নিয়ে আসি। কিন্তু এবার এতো কড়া চেক হবে বুঝতেই পারিনি।”
এদিকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি কে ফোন করলে তিনি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি। তবে বিএনপির এক ব্যাবসায়ি নেতার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আজ ম্যাডামের(বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া) বাড়িতে রাতে এক অনুষ্ঠান এর আয়োজন আছে। গুলশান থানায় খোজ নিয়ে জানা যায় এমন কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন আছে এমন কোন পারমিশন নেয়া হয়নি। তাই খালেদার বাড়ির দিকে নজর রাখছে পুলিশ। এদিকে মতিনের কাছে বিলেতি মদ সরবরাহ করার কোন লাইসেন্স বা পারমিট না থাকায় বিলেতি মদ পরিবহনের দ্বায়ে বাদি হয়ে মামলা করছে গুলশান থানা এবং মতিন কে পাঠানো হয়েছে কারাগারে।
যদি খালেদা জিয়া ভি ভি আই পি হিসাবে মদ পান করে তাকে জামাতিদের কি? তবে গোপনে চুপি চুপি আনার প্রক্রিয়াটা ছিল বেআইনি, খালেদা যে মদে আসক্ত তাতো ওপেন সিক্রেট, তাছাড়া একাত্তরের পাক আর্মি ক্যাম্পে বন্দি থাকা অবস্থায় পাক আর্মির সাথে মুজ না করলে , পাকিরা তার প্রতি সদয় হতো না – তাই মদ পান খালেদার নেশা – আর নেশার কারনে খালেদা অপরাধে জড়িয়ে পরে – খালেদা জিয়াকে এই অপয়া নেশা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে।