প্যারাডাইস পেপারে নতুন করে প্রকাশিত নামের তালিকায় উঠে এসেছে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দুই পুত্র তারেক রহমান ও আরাফাত রহমানের নাম। প্রকাশিত এ নথিতে তালিকার শীর্ষেই আছে খালেদা পুত্রদের নাম।
এছাড়াও নতুন প্রকাশিত ২৫ হাজার নথিতে বের হয়ে আসছে আরও রাঘব বোয়ালদের নাম ও তাদের অর্থ পাচারের নানান তথ্য। সেখানে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর নাম উল্লেখ করে তাদের পাচারকৃত অর্থের হিসাবসহ তথ্য ফাঁস হয়েছে এবার। এসব তথ্যের মাধ্যমে ইতিপূর্বে বাংলাদেশি গনমাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশিত দুর্নীতির অভিযোগ সমূহের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে নতুন করে। ফাঁস হওয়া এসব নথিতে প্রাপ্ত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক কয়েকটি গণমাধ্যম। এসব গণমাধ্যমের বিভিন্ন রিপোর্টে তারেক ও কোকোর অবৈধ অর্থ পাচারের সম্পর্কিত একাধিক কোম্পানির নামও উল্লেখ্য করা হয়েছে।
প্যারাডাইস পেপারসে দেখা যায়, তারেক জিয়া ২০০৪ এবং ২০০৫ সালে কেইম্যান আইসল্যান্ড এবং বারমুডায় ২ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে। এছাড়াও তার বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল-মামুনের ওয়ান গ্রুপের তিনটি কোম্পানি খোলা হয় ট্যাক্স হেভেনে।
তারেক জিয়ার প্রয়াত ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকো বারমুডার বিভিন্ন কোম্পানিতে ২০০৫ সালে প্রায় ১ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছিল। কোকোর মৃত্যুর পর এই বিনিয়োগ তার স্ত্রী শর্মিলা রহমানের নামে স্থানান্তরিত হয়। অর্থাৎ অবৈধ ভাবে ট্যাক্স হেভেনে জিয়া পরিবারের বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৫০০ কোটি টাকা।
প্যারাডাইস পেপারস বিশ্বের ২৫ হাজারেরও বেশি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেন ও মালিকানা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ভান্ডার। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক পৃথিবীর ১৮০টি দেশের ধনী, সুপরিচিত এবং প্রভাবশালী ব্যক্তি। বেশির ভাগ তথ্যই বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদদের, যারা কর থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন ট্যাক্স হেভেনে বিনিয়োগ করে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন।