প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে কিভাবে বিমান ক্র্যাশ করানো যায় সে বিষয়ে তারেক জিয়া ও আব্দুল্লাহর মধ্যে পরিকল্পনা হয়েছিল। এই পরিকল্পনার বিষয়টি নিয়ে বিমানের ফার্স্ট অফিসার শাহরান আলী, ক্যাপ্টেন (অব.) আতাউল কাইয়ুম ও ক্যাপ্টেন নওশাদের সঙ্গেও কথা হয়েছিল।’ এমনই ভয়ঙ্কর জবানবন্দি দিয়েছেন র্যাবের হাতে গ্রেফতার বিমানের ফার্স্ট অফিসার পাইলট সাব্বির এমাম।
তিনি জবানবন্দিতে আরও বলেন, বিমান দিয়ে কোনো স্থাপনায় আঘাত হানতে হলে তা অবতরণের সময় সম্ভব। কোনোক্রমে টেক অফের সময় সম্ভব নয়। ঢাকা বিমানবন্দর থেকে টেক অফ করে তাৎক্ষনিকভাবে ঢাকার কোনো স্থাপনায় আক্রমণ করা সম্ভব নয়।
চট্টগ্রাম, সিলেট বা রাজশাহী থেকে বিমান এনে ঢাকার কোনো স্থাপনায় অবতরণকালে আঘাত হানা সম্ভব বলে আমাকে জানান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। গত ২৬ অক্টোবর মিরপুরের বর্ধনবাড়ির কমলপ্রভা বাড়ি থেকে পাইলট সাব্বির এমামকে র্যাব গ্রেফতার করে। এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর কমলপ্রভা বাড়িতে জঙ্গি বিরোধী অভিযানে আত্মঘাতি হামলায় জঙ্গি আব্দুল্লাহ, ও তার দুই স্ত্রী ফাতেমা ও নাসরিন, দুই সন্তান ওমর ও ওসামা এবং দুই সহযোগী নিহত হয়।
গত ৮ নভেম্বর ঢাকার মহানগর হাকিম মো: সারাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে পাইলট সাব্বির এমাম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে বলেন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) আব্দুল্লাহর মাধ্যমে নব্য জেএমবি’র বায়াত গ্রহণ করেন।
সাব্বির বলেন, আমি যে বিমানটি চালাই সেটি দুজনে মিলে চালাতে হয়, তাই একা কিছু করা সম্ভব নয়। আব্দুল্লাহ ও তারেক জিয়া আমাকে বুদ্ধি দিয়েছিল যে, তাদের ২/৪ জন ছেলেকে ফ্লাইং শিখিয়ে বিচারলয়সহ সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ছোট ছোট বিমান দিয়ে আত্মঘাতি হামলা চালানোর জন্য।