বিএনপির সিনিয়র নেতারা শেষ বয়সে বেগম জিয়ার রাজনীতির ব্যর্থতার দায় নিতে চাচ্ছেন না। বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতাদের ব্যবসা বাণিজ্য রক্ষার পাশাপাশি তাদের সংসদীয় আসন ধরে রাখার বিষয়টিও তাদের ভাবিয়ে তুলেছে। কারণ পর পর দুই বার নির্বাচনে না গেলে সেই আসনটি স্বাভাকিভাবেই হাত ছাড়া হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে।
তাই এবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র আইনজীবী একজন সদস্যর নেতৃত্বে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিএনপির ২ শতাধিক এমপি প্রার্থী।
সম্প্রতি সফর করে যাওয়া ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বেগম খালেদা জিয়া। বেগম জিয়া আশা করেছিলেন সুষমা স্বরাজ তার সঙ্গে দেখা করতে যাবেন তার গুলশানের বাড়ি ফিরোজায়। এতে সুষমা স্বরাজ রাজি না হওয়ায় তাকে সুষমার হোটেল লবিতে এসে দেখা করতে হয়।
সেদিনের ওই বৈঠক এবং দিল্লীতে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলের গোপন সফরের পর বিএনপির সিনিয়র নেতারা বুঝে গেছেন যে সামনের দিনে বিএনপির জন্য আরো করুণ পরিণতি অপেক্ষা করছে। সুষমা স্বরাজ তারেক রহমান সর্ম্পকে চূড়ান্ত নেতিবাচক মনোভাব দেখালে আশাহত হয়ে হোটেল থেকে বের হোন বেগম জিয়া। পাশাপাশি দিল্লীর প্রতিনিধি দলও বিএনপি চেয়ারপর্সনকে কোন সু-খবর শোনাতে পারেননি।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নামে যে মামলা রয়েছে তার প্রমাণ এত সু-স্পষ্ট যে তার বিরুদ্ধে রায় যাওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। মামলায় বেগম জিয়ার জেল হয়ে গেলে এমনিতেও তাকে বাদ দিয়েই নির্বাচন করতে হবে। সেই প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই তারা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন।
বেগম খালেদা জিয়া বর্তমান সংবিধান মেনে নির্বাচন করতে চাইলেও তারেক রহমান শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচন করতে ইচ্ছুক নন। প্রয়োজনে আবারো ২০১৪ সালের মত নির্বাচন বর্জন করতে পারে বিএনপি। এমন আশংকায় বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়াকে ছাড়াই নির্বাচনী ছক কষছেন। কারণ হিসেবে তারা মনে করছেন এবারও নির্বাচন বর্জন করলে তাদের সংসদীয় আসন পুনরুদ্ধার করা আর সম্ভব নাও হতে পরে।