যুক্তরাজ্য সফররত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া পাকিস্থানী গোয়েন্দা সংস্থা (আইএসআই) এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করছেন বলে জানা গেছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক গোয়েন্দা সংস্থা সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (এমআই৬) এর বরাত দিয়ে একাধিক গোয়েন্দা সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেন্ট্রাল লন্ডনের একটি হোটেলে পাকিস্থানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করছেন।
বৈঠকে খালেদা জিয়ার সাথে ছিলেন তারেক রহমান ও লন্ডনে পালিয়ে থাকা যুদ্ধাপরাধী চৌধুরী মঈনুদ্দিন। সেই সাথে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসে যোগ দিয়েছেন আরেক পলাতক যুদ্ধাপরাধী আশরাফুজ্জামান, এছাড়াও সাথে ছিলেন লন্ডনে জামায়াতে ইসলামীর কয়েকজন নেতা।
বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন কেন্দ্র করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরী করতে এ বৈঠকে আইএসআই বাংলাদেশে তাদের এজেন্ট জঙ্গি সংগঠনগুলোকে আরও তৎপর করার প্রস্তাব দেয়। খালেদা জিয়া ও জামায়ত আইএসআই কে যেকোনো মুল্যে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির প্রস্তাব দেন। বাংলাদেশে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আইএসআইকে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ভুখন্ড ব্যাবহারের পূর্ণ প্রতিশ্রুতি দেন বেগম খালেদা জিয়া।।
এছাড়া এবছর নভেম্বরে তিনি ভারত সফরেও যেতে চেয়েছিলেন। এ জন্য তৎপরতাও শুরু করেছেন। এক্ষেত্রে বাধ সেধেছে বেগম জিয়ার আইএসআই কানেকশন। ইতিমধ্যেই আইএসআই এর সাথে খালেদা জিয়ার চাঞ্চল্যকর বৈঠকটির কারনে ভারত সফর এক প্রকার বাতিলই বলা চলে।
ভারতের চেয়ে বেগম জিয়া পাকিস্তানের সমর্থনকে বড় করে দেখছেন। বিগত নির্বাচনগুলোর মতো এবারও বেগম জিয়া পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা (আইএসআই) হতে বড় অঙ্কের অর্থিক সহযোগিতা এবং নির্বাচনে জয় লাভের জন্য অনুসাঙ্গিক সমর্থনের আশায় তৎপর বলে জানা যাচ্ছে।
এদিকে ২০ জুলাই রাতের একটি বৈঠককে কেন্দ্র করে কৌতুহল তৈরি হয়েছে লন্ডন প্রবাসীদের মাঝে। দুই পাকিস্থানী কূটনীতিক (যাদেরকে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইর এজেন্ট বলে উল্লেখ করেছে) সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলো বলে তারেক রহমানের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আবু সায়েম নিশ্চিত করেছেন।
লন্ডনে অবস্থানরত খালেদা জিয়া কমপক্ষে ৬ মাসের আগে দেশে ফিরছেন না বলে নিশ্চিত করে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ। এদিকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে খালেদা জিয়ার এই লম্বা সময়ের অনুপস্থিতিকে অনেকটাই সন্দেহের চোখে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ।