বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া প্রতিবারের মতোই এবারেও অসুস্থতার অজুহাতে রোজা রাখছেন না বলে জানান খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের এক কর্মচারী। তিনি আরো জানান, ইসলামের অনুসাশন বলতে তিনি যা মানেন তা ওই ফালু সাহেবের সাথে হজ্ব করা পর্যন্তই। এর বাইরে খুব একটা ধর্ম-কর্ম করেননা তিনি।
খালেদা জিয়ার এখন আর আগের মতো শক্তি-সামর্থ্য নেই। নেই আগের মতো একা একা চলার শক্তি। এখন রাতে ঘুমালে সকালে কারো সাহায্য ছাড়া উঠতে পারেন না। সকালে ওঠার পর তাকে দীর্ঘসময় ফিজিওথেরাপি নিতে হয়।তারপর পা টেনে টেনে সামান্য হাঁটতে পারেন। খুব বেশি হাঁটতেও পারেন না। গুরুত্বপুর্ণ মিটিং ছাড়া তিনি এখন খুব একটা বাসা থেকে বেরও হন না।
৫০২ সদস্যের বর্তমান কমিটির মধ্যে শুধুমাত্র চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জন্যই উপদেষ্টা রয়েছেন ৭৩ জন। কাজের মানুষের সংখ্যাও প্রায় অর্ধেক। তাই তেমন কোন কাজই খালেদার করতে হয়না।বাসায় অনেকটা শুয়ে বসেই কাটান বিএনপির এই চেয়ারপার্সন। বই পড়ার অভ্যাস না থাকলেও সন্ধ্যার পর মদ্যপানের অভ্যাসটা এখনো ছেড়ে উঠতে পারেননি খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার এই শারীরিক অক্ষমতার প্রভাব পড়েছে বিএনপিতেও। বিএনপির কাঠামোরও বেহাল দশা। দলকে সমৃদ্ধ করতে নতুন নতুন নেতা-কর্মীর বিকাশ ঘটানোর কোনোই তৎপরতাই নেই। অনেক নেতাই বয়সের ভারে ন্যূব্জ। ফলে আন্দোলন-সংগ্রামে সংগঠন থেকে প্রয়োজনীয় সাহায্য ও ফিডব্যাক পাচ্ছে না বিএনপির এই নেতা।
আগামী নির্বাচনে বিএনপি না আসলে তাদের নাম ঠিকানা থাকবে না। অবস্থা হবে মুসলিম লীগের থেকেও খারাপ। খালেদা জিয়া তার শারীরিক অবস্থা আর দলের অবস্থা ঠিক করতে না পারলে তাদের পরবর্তী দিনগুলো হবে আরো ভয়াবহ।
ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার এটাই যখন আমাদের জাতীয় মুলনীতি তখন আর আমরা জনগন কি বলব ভাই আপনি বলুন !