কর্মীদের ক্ষোভ আর সেই সঙ্গে তুমুল হৈ-হট্টগোল আর এক পর্যায়ে জুতা ছোড়াছুড়ির মধ্যে গতকাল শনিবার বগুড়ায় বিএনপির কর্মিসম্মেলন মাঝপথে শেষ করেই পালাতে হয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী সোহেলকে।
বিএনপির প্রধান ঘাঁটি বলে পরিচিত বগুড়ায় নেতৃত্ব নিয়ে বিভাজনের কারণে মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে আগে থেকেই তীব্র ক্ষোভ আর অসন্তোষ বিরাজ করে আসছিল। এ অবস্থায় দলকে গোছানোর জন্য দলের কেন্দ্রীয় কমিটি গতকাল বগুড়ায় কর্মিসম্মেলনের কর্মসূচি দিয়েছিল। কিন্তু সম্মেলন স্থলে গিয়ে দেখা যায় আসন সঙ্কুলান না হওয়াতে নেতা কর্মিদের মধ্যে আগে থেকেই চাপা উত্তেজনা বিরাজ করতেছিলো। স্লোগান পালটা স্লোগান এর মধ্যে বক্তিতা দিতে শুরু করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী সোহেল। তাঁর বক্তিতা চলাকালীন শুরু হয় হইচই, হট্টগোল আর জুতা ছোড়াছুড়ি। সে সময়ে হাবিব-উন-নবী সোহেল অনেক বার হট্টোগোল থামানো ও নেতা কর্মিদের ঠান্ডা করার চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়েছেন। হট্টোগোলের মধ্যে এক পর্যায়ে শুরু হয় নেতা কর্মিদের জুতা ছোড়াছুড়ি, সে সময় মঞ্চ লক্ষ্য করে কিছু নেতা কর্মিকে জুতা ছুড়ে মারতে দেখা যায় ।
সন্ধ্যার দিকে বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বগুড়ায় বিএনপির একাধিক গ্রুপ রয়েছে। এসব গ্রুপের নেতাকর্মীদের সম্মেলনস্থলে স্থান সংকুলান না হওয়ার কারণে শুরু হয় হট্টগোল। হট্টগোলের এক পর্যায়ে জুতা ছোড়াছুড়ি শুরু হলে কেন্দ্রীয় যুগ্ম- মহাসচিব কে মঞ্চ থেকে নিরাপদে সরিয়ে গাড়িতে তুলে স্থান ত্যাগ করি আমরা। এদিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন আমাদের জানান, নেতাকর্মীরা যুগ্ম মহাসচিবকে লক্ষ্য করে জুতা ছুড়ে মারার ঘটনা এটাই প্রথম না। এর আগেও মাগুরা ও রাজশাহীতে এমন ঘটনা ঘটছে। তবে তিনি এই ঘটনার জন্য জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম কে দ্বায়ি করেন।