ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত নুরুল ইসলাম মারজান ছিলেন শিবিরের সক্রিয় সাথী। পাবনা আলিয়া মাদ্রাসায় পড়া অবস্থাতেই জড়ান শিবিরের রাজনীতিতে।
পুলিশ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সূত্র খোজ নিয়ে জানা যায়, পাবনা আলিয়া মাদ্রাসায় পড়া অবস্থাতেই মারজান জড়িয়ে পড়েন স্থানীয় শিবিরের রাজনীতিতে। সক্রিয় ছিলেন দলের প্রচারনার কাজেও। অপরদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পড়ার সময় মারজান শিবিরের সাথী (সক্রিয় কর্মি) ছিল। ২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর আবদুর রব হলে অভিযানে পুলিশ শিবিরের যেসব নথি উদ্ধার করেছিল তাতে নুরুল ইসলামের নাম পাওয়া যায়। এতে তার সেশন ২০১২-১৩ উল্লেখ করা হয়। এই নুরুল ইসলামই দুর্ধর্ষ জঙ্গি মারজান। গণমাধ্যমে ছবি প্রকাশের পর সবাই জানতে পারে, মারজানের জঙ্গি কর্মকাণ্ডের বিষয়টি। সে শিবির নিয়ন্ত্রিত ‘আল হেরা কটেজ’-এ থাকত। শাহজালাল ও শাহ আমানত হলের মাঝামাঝি ওই কটেজের অবস্থান।
গত বছরের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার পর অন্যতম সন্দেহভাজন হিসেবে মারজানের নাম জানতে পারেন গোয়েন্দারা। পরে তদন্তে তার সরাসরি সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মেলে। গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার অপারেশন কমান্ডার ছিল এই মারজান। হলি আর্টিসান ছাড়াও দেশে বিভিন্ন জঙ্গি হামলায় অপারেশন কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করে মারজান। এ ছাড়াও সে সংগঠনের প্রচার ও নতুন সদস্যদের মগজ ধোলাইয়ের কাজ করত। জঙ্গিদের আত্মঘাতী গ্রুপকে নানা কথায় মানসিকভাবে প্রস্তুত করে তুলত। মারজান অত্যন্ত বাকপটু ছিল। উগ্রবাদী চিন্তার শিরোমণি মারজান তামিম চৌধুরীর আস্থাভাজন ছিল।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে রাজধানীর রায়েরবাজারে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সঙ্গীসহ দুর্ধর্ষ এ জঙ্গির মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, একটি ছুরি ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।