ইতিহাসের অত্যন্ত রহস্যময় একটি চরিত্র হচ্ছে জিয়াউর রহমান। ছিলেন খুবই ধূর্ত, ঠান্ডা মাথার খুনি। কালো চশমার আড়ালে চোখ দুটিকে আড়াল করে রাখতেন। নিজের লক্ষ্য হাসিলের জন্য পরম উপকারীকেও নির্দয়ভাবে খতম করে দিতে দ্বিধাবোধ করতেন না।
১৯৭৮ সালের জানুয়ারী মাসে জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামে একটি সভায় গিয়েছিলেন। সেখানে জিয়াউর রহমানকে বিএনপির নেতা ডা. ইউসুফ বলেছিলেন, আমাদের পতাকায় কোনো ইসলামের চিহ্ন নেই। পতাকার ডিজাইন পরিবর্তন করা দরকার। তখন জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, ‘হবে হবে, আমাকে আগে ওই হিন্দুর লেখা জাতীয় সংগীত পাল্টাতে দাও।’
অথচ জিয়ার ব্যক্তিগত জীবন পর্যালোচনা করলে দেখা যায় সে মোটেও ধার্মিক ছিল না। জিয়াই দেশে প্রথম মদ, হাউজি, বায়েজিখানার লাইসেন্স প্রদান করেন। ব্যাক্তিজিবনে জিয়া প্রচুর মদ্যপান করত। জিয়াকে যেদিন চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে হত্যা করা হয় সেদিন রাতেও জিয়া মাতাল অবস্থায় ছিলেন।
৩০ লক্ষ মানুষের রক্ত, ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে যে জাতীয় সংগীত আমরা অর্জন করলাম, একটি জাতীয় পতাকা অর্জন করলাম তাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিলেন জিয়াউর রহমান।