ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, সুনামগঞ্জের ছাতক ও গোপালগঞ্জে ঘটে যাওয়া সংখ্যালঘু আক্রমনের নেপথ্যে বিএনপি ও জামায়াত এর জড়িত থাকার একাধিক প্রমাণ পাওয়া গেছে।
গত ৩০শে অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উপর হামলার পেছনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু সহ একাধিক নেতার সাথে জামায়াত এর বেশ কিছু নেতৃস্থানীয় নেতার সম্পৃক্ততার প্রমান অনুসন্ধানে মিলেছে। অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে গত ৩১ শে অক্টোবর ও পহেলা নভেম্বরে সুমানগঞ্জের ছাতক ও গোপালগঞ্জে হিন্দুদের উপর হামলার সাথেও বিএনপির একাধিক নেতা জড়িত আছে। বিএনপি জামায়াত মিলে দেশে অরাজাকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটাচ্ছে। বিএনপির নেতা দুদু ও জামায়াত এর সূরা সদস্য মোজাম্মেল হক এক ফোন কনভার্সেশনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক স্থানীয় নেতাকে ফোনে নির্দেশ দেন ‘যে কোন ভাবেই হোক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হিন্দুদের উপর হামলা চালায়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে হবে’।
অনুসন্ধান করে আরো জানা যায়, রাস্তার আন্দোলনে ব্যার্থতা, জঙ্গিদের ঝিমিয়ে পড়া, দল হিসেবে গুছিয়ে উঠতে না পারা থেকে হতাশ হয়ে দলটির সিনিয়র নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে সারাদেশে অরাজকতা সৃষ্টি করাই এখন দলটির প্রধান উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাথে বরাবরের মত সঙ্গী হিসেবে পাচ্ছে যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াত কে। বিএনপির একাধিক নেতার ফোন কল ট্রাক করে এসব তথ্য জেনেছেন বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৮শে অক্টোবর “নভেম্বরে বুঝতে পারবেন বিএনপি আছে কি নাই” বলে এক সমাবেশে হুঙ্কার দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তাঁর দেয়া এই বক্তব্যের দুই দিন পরই হামলার ঘটনা ঘটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে।