ভারতের সাথে পাকিস্তানের সীমান্ত উত্তেজনা বাড়ায় এবং আসন্ন সার্ক সম্মেলন বাতিল হয়ে যাওয়ায় বেশ চাপে পরেছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক মহলেও পাকিস্তানকে নিয়ে সমালোচনা বেড়েই চলেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা “আইএসআই” বিভিন্ন দেশে তাদের মিত্রদের মাধ্যমে নতুন করে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেত্রীবৃন্দের সাথে “আইএসআই” একাধিকবার বৈঠক করেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আইএসআই এর সাথে বৈঠকে বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রুহুল কবির রিজভী, শামসুজ্জামান দুদু , বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ্ আল নোমান, প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের।
এরপর থেকেই বিএনপি নেতারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের পক্ষে সরাসরি কথা বলা শুরু করেছেন। গত ২৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক স্মরণসভায় শামসুজ্জামান দুদু বলেন, কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের পক্ষেই থাকা উচিৎ।
হঠাৎ করে বিএনপি নেতারা কেন পাকিস্তানের ব্যাপারে কথা বলছে এব্যপারে জানতে চাইলে রাজনৈতিক বিশ্লেষক আনিসুজ্জামান বাংলাদেশ টাইমসকে বলেন, “পাকিস্তান আন্তর্জাতিকভাবে চাপে রয়েছে। তাই তারা তাদের পক্ষে জনমত সৃষ্টি করার জন্য অনুগতদের দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে। এক্ষেত্রে পাকিস্তানের প্রধান হাতিয়ার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা তাদের অনুগত রাজনৈতিক দল ও নেতা এবং বুদ্ধিজীবীরা। আর তাই এদেশে থাকা পাকিস্তানের শুভাকাঙ্ক্ষী দল বিএনপি পাকিস্তানের অন্যতম হাতিয়ার।”
এদিকে সার্ক শীর্ষ সম্মেলনকে অকার্যকর করতে আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ্ আল নোমান। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রয়াত বিএনপি নেতা ব্রি. জে. (অব.) আ স ম হান্নান শাহ-এর স্মরণ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
এথেকে বোঝা যায়, বিএনপি বেশ ভালভাবেই পাকিস্তানের পক্ষে প্রচারনায় নেমেছে। মূলত সার্ক সম্মেলন ভেস্তে যাওয়ার দায় আওয়ামীলীগের ঘাড়ে চাপিয়ে পাকিস্তানকে ইতিবাচক প্রমাণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে বিএনপি। যা আইএসআই এর এজেন্ডা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।