কাউন্সিলের ২০ দিন পর বিএনপির নতুন কমিটির যুগ্মমহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের নাম ঘোষণা হয়েছে। নাম ঘোষনার পর পর সংবাদ সম্মেলন কক্ষে বিক্ষোভ প্রকাশ করেন বাদ পড়া সিনিয়র নেতারা।
যুগ্ম মহাসচিবদের মধ্যে আগের কমিটির এ এম মাহবুবউদ্দিন খোকনই শুধু রয়েছেন। তার সঙ্গে যোগ হয়েছেন মজিবুর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিবুন-নবী খান সোহেল, হারুনুর রশীদ ও আসলাম চৌধুরী।
সাংগঠনিক সম্পাদকরা হচ্ছেন- ফজলুল হক মিলন, নজরুল ইসলাম মঞ্জু, শাহাদাত হোসেন, আসাদুল হাবিব দুলু, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিলকিস শিরীন ও শামা ওবায়েদ।
শনিবার বিএনপির নতুন জ্যেষ্ঠ যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন কমিটির যুগ্মমহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের নাম প্রকাশ করেন। কাউন্সিলের ১০ দিন পর মহাসচিব হিসেবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জ্যেষ্ঠ যুগ্মমহাসচিব পদে রিজভীর নাম অনুমোদন করেছিলেন খালেদা।
এদিকে যুগ্ম-মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদক এর নাম ঘোষনার পর পর ক্ষোভ ও বিক্ষোভ করেছেন বাদ পড়া নেতারা। তারেক রহমান পন্থি নেতাদের সাথে শিমুল বিশ্বাস পন্থি নেতার মিলে সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সামনেই স্লোগান দিতে থাকেন। এক প্রকার কড়া দলীয় কর্মিদের নিরাপত্তার মধ্যে সংবাদ সম্মেলন কক্ষ ত্যাগ করেন রিজভী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটীর সাবেক এক যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, দলে যারা নিস্ক্রিয় তাদের মূল পদে আনাটা অন্যায়। কমিটিকে ধ্বজভঙ্গ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, দলের আগামি সকল ব্যার্থতার জন্য একমাত্র তিনি(খালেদা) দায়ি থাকবেন। আমাদের এভাবে অবহেলা করাটা উচিত হয়নি তার, এর ফল খুব একটা ভাল হবে না বলে হুমকি দেন এই নেতা।
উল্লেখ্য- ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে খালেদা জিয়া চেয়ারপারসন ও তারেক রহমান জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান পদে পুনর্নির্বাচিত হন।