দ্বিতীয় দফায় ইউনিয়ন নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত তথা ২০ দলীয় জোটের ভরাডুবির পর নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে জামায়াত নেতৃস্থানীয়দের মধ্যে। জামায়াতের সিনিয়র অনেক নেতাই আর বিএনপি চালিত ২০ দলীয় জোটে থাকতে ইচ্ছুক নয় বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
গত ২২শে মার্চের প্রথম দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর ৩১শে মার্চ শেষ হলো দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। গত বারের মত এ বারও ভরাডুবি হয়েছে বিএনপি-জামায়াত তথা ২০ দলীয় জোটের। কোন ভাবেই আওয়ামীলীগ প্রার্থীদের বিপক্ষে সুবিধা করতে না পারায় ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে জোটে। প্রথম দফায় বিপুল ভোটে হারার পর দ্বিতীয় দফায় কোন ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থীদের কোনরকম ছাড় দেয়নি জামায়াত প্রার্থীরা। এ নিয়েও তৃনমূল বিএনপিতে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ।
জোটে থাকবেন কিনা এমন প্রশ্নে জামায়াত কেন্দ্রীয় সূরা সদস্য আলহাজ্ব মোজাম্মেল হক বাংলাদেশ টাইমস’র রিপোর্টারকে বলনে- ‘তাদের(বিএনপি) সাথে জোটে থেকে আমাদের কোন লাভ হয়নি আজপর্যন্ত, বরংচ তারা আমাদের কে নানা ভাবে ব্যাবহার করেছেন। যে দল নিজেদেরকে আন্দোলনের মাধ্যমে মাঠে রাখতে পারে না, সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে পারে না, তাদের সঙ্গে আমরা আর থাকবো না’। তিনি আরো বলেন, ‘গত সংসদ নির্বাচনে তাদের জন্য আমরা নির্বাচন করতে পারিনি, পৌরসভার মেয়র নির্বাচনে হেরেছি, এখন ইউনিয়ন নির্বাচনেও ভরাডুবি হচ্ছে। এই জোটে আর থাকার কোন মানে দেখি না আমি’।
ওপর দিকে পৌরসভা নির্বাচনের পর ইউনিয়ন নির্বাচনেও বিএনপির ভরাডুবিতে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে বিএনপি নেতা কর্মিদের মাঝে। দলীয় প্রতীক পেয়েও সর্বাধিক ইউনিয়নে ভরাডুবি ভাবাচ্ছে নেতৃস্থানীয়দের। বিএনপির একাধিক নেতা জানান, এমন ভরাডুবির কারন বের করতে নব-নির্বাচিত মহাসচিবকে দ্বায়ীত্ব দিয়েছে দলটির চেয়ারপারসন বেগম জিয়া।
উল্লেখ্য, রাজনৈতিক ভাবে নিষিদ্ধ জামায়াত প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক না পেয়ে নির্বাচন করছেন সতন্ত্র হিসেবে। অপর দিকে বিএনপি তাদের দলীয় প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করেও ভরাডুবির স্বীকার হয়েছেন।