নানা জল্পনা কল্পনার পর বিএনপির নতুন মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্র অবস্থায় বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই ঘোষনার পর থেকে তারেক রহমান পন্থি নেতাদের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করত দেখা যায়। এদিকে আজ বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে।
গত ১৯ই মার্চ বিএনপির ৬ষ্ট কাউন্সিলের ১১ দিন পর ঘোষনা করা হলো নতুন মহাসচিবের নাম। ৫ বছর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এর দ্বায়িত্ব পালনের পর এবার পূর্নাঙ্গ মহাসচিব হলেন ফকরুল ইসলাম আলমগীর। নতুন মহাসচিব নির্বাচনের পর থেকেই তারেক জিয়া পন্থি নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নতুন মহাসচিব নিয়ে দলটির সাবেক স্থায়ি কমিটির সদস্য হান্নান শাহ এর সাথে কথা বলতে চাইলে “নো কমেন্টস” বলে এড়িয়ে যান। দলটির আর এক সিনিয়র নেতা নজরুল ইসলাম খানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
মহাসচিব নির্বাচন নিয়ে কিছুদিন আগে মায়ের সাথে টেলিফোনে বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েছিলেন দলটির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব তারেক রহমান। একাধিক ঘনিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, সরকারবিরোধী গত আন্দোলনে ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর ভূমিকা নিয়ে তারেকের অসন্তুষ্টি প্রকাশ পেলেও তার উপরই ভরসা করেছেন খালেদা।
অপর দিকে আজ বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে তারেক রহমান পন্থি নেতাদের সাথে বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন খালেদা পন্থি নেতারা। বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে চেয়ার ছুড়াছুড়ি ও একে অপরকে ধাক্কা ধাক্কি করে বলে জানিয়েছন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ঢাকা মহানগরের এক নেতা। এসময় অনেককে খোদ দলীয় চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধেও স্লোগান দিতে শোনা যায়। তারা মহাসচিবের পদ থেকে ফখরুলকে বহিষ্কারের দাবি তুলেও স্লোগান দিয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাত্র অবস্থায় বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৬৬-৬৭ সালে ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ফখরুল পরে মেনন সমর্থক ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। তার পিতা মির্জা রুহুল আমিন (চখা মিয়া) একাত্তরে শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন, পরে এরশাদ আমলে মন্ত্রী হন।