আগামি ৩১শে মার্চ দ্বিতীয় দফায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচন সামনে রেখে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে ২০ দলিয় জোটের মূল দুই শরিক বিএনপি জামায়াত।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে আগামি ৩১ শে মার্চ। নির্বাচন ঘিরে ক্রমশ মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে গেছেন বিএনপি-জামায়াত প্রার্থিরা। কেউ কাউকে ছাড় দিবেন না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
এদিকে দুই দল থেকেই তাদের প্রার্থীদের সরে আসার নির্দেশ দিলেও কেউ মানছেন না। প্রথম দফার নির্বাচনে বিএনপির ভরাডূবির পর আর আস্থা রাখতে পারছে না স্থানীয় জামায়াত নেতারা। তারা চাচ্ছেন আলাদা আলাদা ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে। কিন্তু বাধ সাধছে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। রাজনৈতিক ভাবে নিষিদ্ধ জামায়াত প্রার্থীরা দলিয় প্রতিক দাড়িপাল্লা না পাওয়ায় সতন্ত্র ভাবে নির্বাচন করতে হচ্ছে। অপর দিকে দলিয় প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করছে বিএনপির প্রার্থীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জামায়াত এর কেন্দ্রীয় নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রথম দফা নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবি হওয়াতে এবার আমরা একক ভাবে নির্বাচন করতে চাচ্ছি। কিন্তু বিএনপি দলীয় প্রার্থীদের ছাড় না দেয়া মানসিকতা আমাদের কোণঠাসা করে ফেলছে। তিনি আরো বলেন, এভাবে চলতে থাকলে আমরা আর এই জোটে থাকবো কিনা সে ব্যাপারে নতুন করে চিন্তা করতে হবে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের।
এদিকে এবিষয়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলতে গেলে কেউ সরাসরি কথা বলতে রাজি হননি। তবে এক সিনিয়র নেতা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, “তারা(জামায়াত) জোট ছাড়তে চাইলে ছাড়তে পারে। বরং তাদের সঙ্গে থেকেই আমরা নানা বিতর্কে জড়িয়ে গেছি। তাদের নেতাদের যুদ্ধাপরাধের কারণে জনগন নৈতিকভাবে আমাদেরও বরজন করেছে। এরফলে আমরা দলীয়ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি।”