জামায়াতে ইসলামীর রুকন ও যুদ্ধাপরাধী দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর বেয়াই কামালুদ্দীন জাফরীর বিরুদ্ধে অন্যের সুন্দরী স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুই সন্তানসহ ওই নারীকে তিনি মিশরের রাজধানী কায়রোতে নিয়ে রেখেছেন বলে জানা গেছে।
জাফরী দীর্ঘদিন জামায়াতে ইসলামীর রুকন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান। এছাড়া তিনি জামায়াতের আরেক প্রভাবশালী নেতা যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বেয়াই। সাঈদীর ছেলের সঙ্গে জাফরীর মেয়ের বিয়ে হয়েছে।
এর আগে নিজ বাসায় ভাড়াটিয়া এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে তৃতীয় স্ত্রী করে নেয়ার ঘটনায় নরসিংদীতে স্থানীয় পত্রিকায় শিরোনাম হয়েছিলেন কামালুদ্দীন জাফরী।
এবার নওশীন আলম (৩৩) নামে যে নারীকে জাফরী (৭৩) ভাগিয়ে নিয়ে গেছেন তিনি তারই সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক আব্দুল মতিনের স্ত্রী। অভিযোগকারী আব্দুল মতিন বর্তমানে ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়ার একটি মসজিদে ইমামতি করেন।
আব্দুল মতিন তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে অপহরণের বিষয়ে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সেন্ট্রাল শরিয়াহ বোর্ড ফর ইসলামি ব্যাংকস অব বাংলাদেশ এর নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারি জেনারেলের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জাফরী সেন্ট্রাল শরিয়াহ বোর্ডের চেয়ারম্যান। তার নৈতিক স্খলনের তদন্ত এবং শরিয়া বোর্ড থেকে বহিষ্কারের আবেদন করা হয়েছে অভিযোগপত্রে। যেসব ব্যাংক সেন্ট্রাল শরিয়াহ বোর্ডের সদস্য তাদেরও লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মতিন।