পদ্মা সেতু দুর্নীতির ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত বাংলাদেশী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইসমাইলকে নির্দোষ ঘোষণা করেছেন কানাডার আদালত। পদ্মা সেতু প্রকল্পের প্রধান পরামর্শক অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীকে এক ইমেইল বার্তায় এ কথা জানানো হয়েছে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ, তারপর প্রকল্প থেকে বিশ্বব্যাংকের সরে যাওয়া, আবারো ভুল স্বীকার করে পদ্মা সেতু প্রকল্পে যুক্ত হওয়া, বিশ্বব্যাংককে না বলে দেয়া সবই এখন অতীত। চূড়ান্ত সত্য হলো নিজেদের টাকায় নির্মাণ চলছে সোয়া ৬ কিমি পদ্মা সেতুর।
অনেকের মতে পদ্মাসেতুতে বিশ্বব্যাংকের র্অথায়ন বন্ধ করতে মূলত ডঃ মোহাম্মাদ ইউনুস স্বপ্রণোদতি হয়ে কাজ করেছেন। তারই লবিং এর কারণে সেসময় বিশ্বব্যাংক পদ্মাসতেুতে দুর্নীতির অভিযোগ এনে অর্থায়ন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। যে দুর্নীতির অভিযোগ পরবর্তীতে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয় বিশ্বব্যাংক।
যদিও বিশ্বব্যাংককে সন্তুষ্ট করতে যোগযোগমন্ত্রীকে সরিয়ে দেয়া, সচিবকে সাময়িক বরখাস্তসহ মর্যাদাহানিকর অনেক উদ্যোগ নিতে হয়েছিলো সরকারকে। সেসময় সেতু নির্মাণ তদারকিতে পরামর্শকের কাজ পাওয়া কানাডিয়ান কোম্পানি এসএনসি লাভালিন কালো তালিকাভুক্তও হয়েছে।
ঐ মামলায় অভিযুক্ত হন কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইসমাইল। ১৩ জানুয়ারি জামিলুর রেজা চৌধুরীকে লেখা ই-মেইলে তিনি দাবি করেছেন, সব অভিযোগ থেকে মুক্ত তিনি। নিজেকে অনেক শক্তিশালী এবং সততার মূর্ত প্রতীক বলে তিনি মনে করছেন।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে মূল পরামর্শক অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, এসএনসি লাভালিনতো দোষ স্বীকার করে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ। কিন্তু বাংলাদেশে কারা ঘুষ চাইছিলো এটা এখনো প্রমাণ করতে পারে নাই। কানাডিয়ান আইনজীবী আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ বিশ্বব্যাংক করেছে, এটা জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংক বলছে এটা আমরা দিতে বাধ্য নই। কানাডার সরকারের সাথে আমাদের একটি চুক্তি আছে। সাক্ষ্য প্রমাণ নিয়ে আমরা কিছু বলতে বাধ্য না। এখন দুই পক্ষের আইনজীবী লড়াই করছে যে বিশ্বব্যাংক কি তাদের কাগজপত্র দিতে বাধ্য কিনা।
অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী জানান, পদ্মা সেতুর নির্মাণ প্রক্রিয়ার অগ্রগতি দেখতে চীনে গিয়েছিলেন তিনি। অগ্রগতি নিয়ে সন্তুষ্ট বাংলাদেশ। চীনে তারা চারটি কারখানা পরিদর্শন করেছেন।
প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ করছে চীনা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। মূল সেতুর স্টীল অবকাঠামোর সিংহভাগের নির্মাণও চলছে চীনে।
Why the so learned people like Dr. Younus get involved with like this type of conspiracy is my question. Do they have no patriotism??