শনিবার দিনগত রাতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদ দেওয়ার পরপরই রবিবার দিনের বেলা দুই নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলেন- সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মেরাজ এবং কেন্দ্রীয় সদস্য মাসুদুর রহমান মাসুদ।
দল পুনর্গঠন এর আরেকটি ব্যর্থ প্রচেষ্টা ছিল বিএনপির। আবারো আন্দোলনের নামে সহিংসতা করার প্রাথমিক ছক কষেছিলেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু নতুন কমিটি ঘোষণার পরপর ছাত্রদল বিপাকে ফেলেছে বিএনপিকে।
দলটির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা বাংলাদেশ টাইমসকে জানান, ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার পরপরই একের পর এক নিখোঁজ নেতা-কর্মী কমিটিতে থাকায় বিএনপির জন্য চরম ‘অস্বস্তিকর’ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। ফলে দল পুনর্গঠন তো দূরের কথা, ঘর সামলাতেই দেন-দরবারে বসতে হচ্ছে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বকে। ছাত্রদল নিয়ে হঠাৎ সৃষ্ট এমন ঘটনায় দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের বড় একটা অংশ খুব বিরক্ত। কিন্তু খালেদা জিয়া নিজে ছাত্রদলের কমিটি অনুমোদন দেওয়ায় বিএনপির অন্য নেতারা এ নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলছেন না। কমিটি ঘোষণার পর থেকেই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও স্বদলীয় প্রতিপক্ষকে মারধর করার ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা যায় ।
কি কারণে এমনটি ঘটলো তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা না দিলেও দুইজনের বহিষ্কারের কথা নিশ্চিত করেছেন ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মেরাজ এবং কেন্দ্রীয় সদস্য মাসুদুর রহমান মাসুদের পদ বাতিল করা হলো। কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাজিব আহসান এবং সাধারণ সম্পাদক মো. আকরামুল হাসান আজ এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন।’
সদ্য বহিষ্কৃত হওয়া দুইজন বাংলাদেশ টাইমস এর কাছে দাবি করেন, এই দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার অধীনে তারা আর রাজনীতি করতে চান না।