বিএনপির একটি অংশ বেরিয়ে আলাদা ‘বিএনপি’ গড়তে যাচ্ছে। দলের ভেতরেই এ নিয়ে জল্পনা-কল্পনার ডাল-পালা ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে দলকে বাঁচাতে খালেদা জিয়া তারেক রহমানকে দেশে আসতে বললেও শীর্ষ নেতারা এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
সদ্য কারামুক্ত দলের এক প্রবীণ নেতা এই নতুন প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন এমন প্রামাণ্য ‘তথ্য’ আছে দলের হাইকমান্ডে। ঐ নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন মির্জা ফখরুল, রিজভী, সাদেক হোসেন খোকাসহ আরও বেশকয়েকজন সিনিয়র নেতা এবং জেলা পর্যায়ের সাবেক ৬৭ জন এমপি।
ইতোমধ্যে গুলশানে দলের এক নেতার বাসায় বৈঠক করেছেন তারা। সেখানে বর্তমান বিএনপির অন্তত ৪ জন প্রভাবশালী নেতা উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে সন্দেহবিদ্ধ নেতাদের গতিবিধিতে নজরদারি করা হচ্ছে। তারা কোথায়, কবে কখন, কার সঙ্গে বৈঠক করছেন, কী কথা বলার চেষ্টা করছেন সে ব্যাপারেও খোঁজখবর চলছে।
দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ সূত্র বাংলাদেশ টাইমস’কে জানিয়েছে, তাদের কাছে পাকা খবর আছে যে,তৃনমূল পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতারা খালেদা ও তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে নতুন করে বিএনপি পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। সেক্ষেত্রে বিএনপির গঠনপ্রণালী সংশোধন করে বহিষ্কার করা হবে তারেক রহমানকে। আর খালেদা জিয়াকে স্বেচ্ছায় অবসর নেয়ার জন্য চাপ দেওয়া হবে। খালেদা জিয়া রাজি না হলে তাকেও বহিষ্কার করা হবে।
এদিকে আলাদা বিএনপি গঠনের সঙ্গে মূলত কারা কারা জড়িত তা সুনিদৃষ্টভাবে জানা না গেলেও দলের একটা মোটা অংশই এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে রয়েছে বলে জানা গেছে। দলের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গেও তারা বিভিন্নভাবে যোগাযোগ ও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
কিছুদিন আগে জিয়াপন্থি বিএনপির লোকজন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় দখল নিতে আসলে তখন থেকেই বিএনপি নতুনভাবে ভাঙ্গার খবরটি আলোচনায় উঠে আসে। সেসময় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত রুহুল কবির রিজভীর ভূমিকাও ছিল সন্দেহজনক।
এই নতুন বিএনপি গড়ার প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সাবেক এমপি বলেন, ‘আমাকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। হ্যা, প্রস্তাবটিও আমাদের দলের সিনিয়র নেতার কাছ থেকেই এসেছে। আমি মনেকরি, হয় বিএনপি পুরানো নেতৃত্ব বাদ দিয়ে নতুন উদ্যমে পুনর্গঠন করা উচিৎ। নয়ত আমাদের মত রাজনীতিবিদদের রাজনীতি ছেড়ে দেওয়া উচিৎ। কেও যদি নতুনভাবে দলের ভালর জন্য কিছু করার উদ্যোগ নেয় আমি তাদের ওয়েলকাম-ই জানাব।”