মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীর মিরপুর থেকে আটক জেএমবি`র সদস্যরা শিবিরের সাবেক ক্যাডার দ্বারা গঠিত জেএমবির সদস্য।
তিনি আরো বলেন, আটক জেএমবির সদস্যরা বড় নাশকতার পরিকল্পনা করছিলো। ৬ তলার ওই বাসা থেকে মোট ২০টি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত গ্রেনেডের সঙ্গে ঢাকার হোসনি দালানের তাজিয়া মিছিলে ছোড়া গ্রেনেডের হুবহু মিল রয়েছে।
এর আগে রাজধানীর মিরপুরে জেএমবির ওই আস্তানা থেকে মোট ৭ জনকে আটক করেছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া ৬ তলা ওই ভবন থেকে ট্রাঙ্ক ভর্তি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে। আটক ৭ জনের মধ্যে ৩ জন নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবির সদস্য। বাকি ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে।
ডিবি পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (এডিসি) ও বোমা নিষ্ক্রিয় দলের প্রধান ছানোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বুধবার রাতে একজনকে আটক করা হয়। সে জানায়, বাসাটিতে গ্রেনেড তৈরি হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত ৩টা থেকে বাসাটিতে অভিযান চালানো হয়।
তিনি আরো জানান, অভিযানের সময় ৬ তলার ওই বাসাটির দুটি মেস থেকে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ট্রাঙ্ক ভর্তি এবং রান্না ঘর ও শোয়ার ঘর থেকে একটি করে দুটি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ট্রঙ্কে কী পরিমাণ গ্রেনেড রয়েছে তা জানার চেষ্টা চলছে।