নিউজ ডেস্ক : গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে তিন দফা বৈঠক করেছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) ঢাকায় দূতাবাসে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘নুরের সঙ্গে কাতার, দুবাই ও ভারতে তিন দফা বৈঠক হয়েছে মোসাদের, আমাদের গোয়েন্দা সংস্থার ছবি পেয়েছি। যদি তিনি (নুর) অস্বীকার করে থাকেন, সেটা ফিলিস্তিনের জন্য ভালো। তবে বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।’
ইসরায়েল থেকে টাকা নেওয়া মানুষ কখনো নেতা হতে পারে না উল্লেখ করে ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান বলেন, ‘মোসাদ থেকে টাকা নেওয়া কখনো বাংলাদেশের মানুষের জন্য কল্যাণকর নয়।’ বাংলাদেশকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
[নুরের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র : আইনের আওতায় আনার দাবি বিশিষ্টজনদের]
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের এমন বক্তব্য আবারও প্রমাণ করলো গত বছরের শেষে পবিত্র ওমরাহ পালনের কথা বলে বিদেশ ঘুরে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্টদের সঙ্গে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছেন। গত ২৮ ডিসেম্বর দুবাইয়ে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর মোসাদ সদস্যের সঙ্গে বৈঠক করেন। ফাঁস হওয়া বৈঠক পরবর্তী ছবিতে দেখা যায়, একটি রেস্টুরেন্টের সামনে মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছেন ডাকসুর সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর। তখন নুর দাবি করেন ছবিটি এডিট করে বানিয়ে একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়াচ্ছে। কিন্তু তথ্য-প্রযুক্তি, ফ্যাক্টচেক এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের মাধ্য সে বৈঠক এবং ছবির সত্যতা মেলে।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) ফিলিস্তিনের গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রদূত আবারও নিশ্চিত করলো মোসাদের এই এজন্টের সঙ্গে কাতার, দুবাই ও ভারতে তিন দফা বৈঠক করেছেন নুর। মোসাদের কাছ থেকে ৪০০ কোটি টাকাও নিয়েছেন তিনি। যা বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকিসরূপ।
[নুরের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র : আইনের আওতায় আনার দাবি বিশিষ্টজনদের]
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশ ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি এবং কূটনৈতিক কোনো সম্পর্কও নেই। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে বাংলাদেশ সব সময় ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। সম্প্রতি জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষের পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে ইসরায়েলি গোয়েন্দার সঙ্গে বৈঠক বাংলাদেশবিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বহন করছে। তাই অতিসত্তর নুরকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।
আরও পড়ুনঃ
নুর ও রেজা কিবরিয়ার বিচ্ছেদ- গোপন থাকলো না কিছুই
সাম্রাজ্যবাদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অ্যান্টি আওয়ামী রাজনীতিতে ইন্ধন যোগাচ্ছে
‘মাইনাস ওয়ান’ বাস্তবায়নে মরিয়া বিএনপি, নয়া ওয়ান-ইলেভেনের প্রস্তুতি বিদেশিদের নিয়ে