বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের মহাসচিব পর্যায়ের মিটিং এ হাতাহাতি!

0
5

শরিক দলগুলোর মহাসচিবদের সঙ্গে শনিবার বৈঠক করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে উক্ত মিটিং এ উপস্থিত জোটের মহাসচিবদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

মিটিং এর শুরুতেই মহাসচিবদের মধ্যে পৌর নির্বাচন নিয়ে বাগবিতণ্ডা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রুপ নেয়। এসময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বারবার সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েও ব্যার্থ‌ হন। মূলত জোটের অন্যান্য শরিকদেরকে জামাতের চাইতে কম প্রাধান্য দেওয়ায়ই হাতাহাতির সূত্রপাত ঘটে। অন্য শরিকদের দাবী, জোটগত ভাবে সবাই সমান সুযোগ পাওয়ার কথা। কিন্তু প্রচারণা এবং সিট ভাগাভাগির ক্ষেত্রে জামাত কে বেশী সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। যা কোনভাবেই কাম্য নয়। মিটিং এর এক পর্যায়ে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক শফিকুল আলম প্রধান দাঁড়িয়ে উচ্চস্বরে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। এসময় জামাতের প্রতিনিধি শফিকুল আলম প্রধান কে বেশী বাড়াবাড়ি না করতে বললে, জোটের অন্যান্য শরিকরাও প্রতিবাদ করতে শুরু করেন।

বিজেপির যুগ্ম মহাসচিব আবদুল মতিন সউদ এসময় জামাতের প্রতিনিধির দিকে আঙ্গুল উচিয়ে তেড়ে যেতে দেখা যায়। তখন খেলাফত মজলিশের মহাসচিব আহমেদ আবদুল কাদের বিজেপির যুগ্ম মহাসচিবকে জোটছাড়া করার হুমকি দিলে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। তখন শফিকুল আলম, আহমেদ আবদুল কাদের কে জামাতের পা চাটা কুত্তা বললে পরিস্থিতি চরম আকার ধারন করে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। কার্যত হাতাহাতি শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত ফখরুল ইসলামকে নীরব থাকতে দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য উঠে আসেন। এক পর্যায়ে জামায়াতের প্রতিনিধি মিটিং ছেড়ে বেড়িয়ে গেলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। এদিকে মিটিং শেষে ফখরুল ইসলাম আলমগির জানান, “এই সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, আমরা ২০ দলের ঐকমত্যের প্রার্থীদের সর্বাত্মক সমর্থন জানাব।

আগামী যে কয়েকদিন প্রচারণার জন্য অবশিষ্ট রয়েছে, সেই কয়েকদিন আমরা সমন্বিতভাবে আমাদের প্রার্থীদের পক্ষে আমরা প্রচাণায় অংশ নেব। তখন সাংবাদিকরা জামাতের প্রতিনিধির মিটিং ছেড়ে বেড়িয়ে যাওয়ার ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি সেবিষয়ে কোন মন্তব্য করবেন না বলে জানান। এদিকে পিপলস লীগের সৈয়দ মাহবুব হোসেন বাংলাদেশ টাইমস কে জানান, জোটগতভাবে আজকে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা আমাদের অনেকের পক্ষেই মেনে নেওয়া সম্ভব না। আমরা এবিষয়ে শীঘ্রই আমাদের মতামত জানাব। এ সময় পাশে থাকা কল্যাণ পার্টির এম এম আমিনুর রহমান কে সম্মতি জানিয়ে মাথা নাড়তে দেখা যায়। তবে মিটিং শেষে শফিকুল আলম প্রধান কে আর খুজে পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য আগামী ৩০ ডিসেম্বর ২৩৪ পৌরসভায় একযোগে নির্বাচন হবে। আইন সংশোধনের পর এই প্রথম দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন হচ্ছে। বিএনপির মেয়র প্রার্থীদের পাশাপাশি জোট শরিক জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) ও এলডিপির দুই নেতা ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। ইসির নিবন্ধন হারানো দল জামায়াতের নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

comments

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here