সারা বছর আন্দোলনে বিএনপির ‘ধীরে চলো নীতি’ থাকলেও আগামী নির্বাচনের আগে তা হতো সহিংস। অনেকটা ২০১৪ সালের জ্বালাও পোড়াও আন্দোলনের মতো। কিন্তু তাদের বড় বাধা হয়ে দাড়ালো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রদত্ত ভিসা নীতি। কারণ ভিসা নীতি অনুযায়ী কোনো দল বা ব্যক্তি নির্বাচনে বাধা দিলে কিংবা বানচাল করার জন্য কোনো ধরনের সহিংসতা ঘটানোর চেষ্টা করলে তারাই এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে। এমনকি ভাষাগত বিষয় প্রয়োগ করা যেমন বিভিন্ন উসকানীমূলক বক্তব্য বা কেউ যদি বলে ‘নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না’ শুধু এই শব্দটাও উচ্চারণ করে ,তাহলে সেটাও বাধা দানের পর্যায়ে পড়বে।
[বিএনপির জন্য বড় চাপ তৈরি করেছে ভিসা নীতি]
জানা গেছে,বর্তমানে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে দলটি। বিএনপির পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, কোনো সভা সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার আগে সবাইকে শব্দ প্রয়োগে সচেতন হতে হবে। এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কোনো বক্তব্য দিতে হলে সেখানে যে যেই বিষয়ে বক্তব্য দিবে সেগুলো আগে লিখিত আকারে দিতে হবে। সেখানে ভাষাগত বিষয় কিংবা উসকানিমূলক কোনো শব্দ থাকলে সংশোধনের পর তবেই তা প্রকাশ করতে পারবে। এদিকে মার্কিন ভিসানীতির পরে প্রথমবারের মতো কেরানীগঞ্জে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। সেখানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সরাসরি হামলা করে বিএনপি। এই ঘটনা নিয়ে দলের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা চলছে। দলের কেউ কেউ বলছেন, সদ্য ঘোষিত মার্কিন ভিসানীতির পরে বিএনপির কর্মসূচি দেয়া ঠিক হয়নি।
[বিএনপির জন্য বড় চাপ তৈরি করেছে ভিসা নীতি]
রাজনৈতিক বিশ্লেষক’রা জানান, ভিসানীতির ফলে বিএনপি অনেক চাপে রয়েছে।নির্বাচন বর্জন করা গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করা। আর নির্বাচন প্রতিহত করা তো সংঘাত তৈরি করা। এগুলো তো এখন আর বিএনপি করতে পারবে না। এটাতে তো বিএনপির ওপর বড় চাপ তৈরি করেছে।
আরও পড়ুনঃ
বিএনপির রোপিত কাঁটা দিয়েই কাঁটা তোলা হবে, নথিপত্র যাচ্ছে মার্কিন দূতাবাসে
তারেক রহমান যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের জন্য ভয়ংকর ক্ষতিকর, গণতন্ত্রের হুমকি