জামিল আহমেদ একজন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এর ফেলো। নিয়মিত তিনি আমেরিকান এমব্যাসির সব প্রোগ্রামেই দাওয়াত পান এবং রাষ্ট্রদূতদের সাথে বেশ ক্লোজ সম্পর্ক মেইন্টেন করেন। তিনি ব্রিটিশ কাউন্সিলের একজন শিক্ষক ও বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, সাভার, ঢাকা; বাংলাদেশ কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমীতেও তিনি ক্লাশ নেন। তার মানে সরকারী প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু থেকে আমেরিকান দূতাবাস সব যায়গায় অবাধ বিচরণ এই জামিল আহমেদ এর।
কিন্তু হঠাৎ করে কেন জামিল আহমেদ এর আলোচনায়?
কারণ তার ফেসবুক থেকে জানা যায়, তার আত্মীয়দের মধ্যে একজন হচ্ছেন সারাবিশ্বের খিলাফত আন্দোলন এর সংগঠন যাকে বলা হয় হিযবুত তাহ্রীর, তার একজন ফ্রন্টলাইন কর্মী ও সংগঠক হচ্ছেন এমদাদ ইবনে করিম, যাকে ফেসবুকে শ্যালক বা Brother-in-law বা দুলাভাই হিসেবে উল্লেখ করা আছে জামিলের ফেসবুকে। আর এমদাদ এর ফেসবুকে লেখা আছে জামিল আর Brother -in-Law বা শ্যালক বা দুলাভাই যেকোনোটাই হতে পারে। তার মানে তারা নিকট আত্মীয়, এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। এমদাদ এর ফেসবুকে তিনি কোথায় পড়েছেন, কোথায় তার বাড়ি, কোথায় থাকেন সব কিছু হাইড করা, মানে তিনি বাইরে থেকে হিযবুত তাহ্রীরকে অপারেট করেন জন্যই তার ব্যক্তিগত তথ্য তিনি দিতে চান না।
[ঢাকার আমেরিকান এমব্যাসি কি ডানপন্থী জঙ্গিদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠলো?]
এমদাদের ফেসবুক ঘাঁটলেই দেখা যায়, তিনি ওপেন হিযবুত তাহ্রীর এর সব পোস্ট শেয়ার করেন, তাদের ইন্টারনাল লাইভ ব্রডকাস্টের ভিডিও তার ফেসবুকে পাওয়া যায়। যেহেতু হিযবুত একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন, তাই তারা ইংরেজিতে একটি নতুন পেইজ খুলেছে আমেরিকা থেকেই যার নাম Stand For Khilafah. এখানেই জিহাদি সকল রকম তথ্য, মতামত প্রকাশ করেন এমদাদ, সেইগুলা নিজে আবার তার আইডি থেকে শেয়ার করেন।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে জামিল আহমেদের আত্মীয় ঠিক আছে, কিন্তু জামিল এর কি কানেকশন এই নিষিদ্ধ সংগঠনের সাথে?
মুলতঃ জামিল আহমেদ কখনোই হিযবুতের কোন প্রোগ্রামে যান না বা ছবিও তুলেন না, তার কাজ হলো আমেরিকা, ব্রিটেন এসব দেশের এমব্যাসির সাথে ক্লোজ কানেকশন মেইন্টেন করেন। বাংলাদেশের আমেরিকান দূতাবাস যে জামাতি আর হিযবুতের আক্রায় পরিণত হয়েছে তার একটা বড় প্রমাণ এই জামিল। আমেরিকা জঙ্গি সংগঠনগুলোকে গোপনে সহায়তা করে থাকে, এবং তারা চায় বাংলাদেশে জঙ্গি সংগঠন গুলো অপারেট করুক এবং সরকারকে বিপদে ফেলুক। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচিত হবে আমেরিকান এমব্যাসির কাছে এই বিষয়ে জবাব চাওয়া এবং তাদের এসব অপতৎপরতা বন্ধের জন্য চাপ দেওয়া।
আরও পড়ুনঃ
অর্থনীতির আকারে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ: আইএমএফ রিপোর্ট
যুক্তরাষ্ট্র: ‘সভ্য’ দেশের পুলিশের প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকাণ্ড