দেশে আওয়ামী লীগ সরকার কতৃক জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে বিভিন্নজন বিভিন্ন কথা বলছেন। সবাই যেন সমালোচক। কিন্তু আসল কথাটা অনেকেই এড়িয়ে যাচ্ছেন। শুনুন তবে সেই তথ্য, যা আমার আপনার সকলের জানা জরুরি।
জ্বালানি তেল আমদানিতে সর্বশেষ জুলাই মাসের গড় প্লাটস রেট অনুযায়ী বিপিসি’র দৈনিক লোকসানের পরিমাণ ডিজেলে- প্রায় ৭৪ কোটি ৯৪ লাখ ৯২ হাজার ৭শ টাকা এবং অকটেনে দৈনিক লোকসান প্রায় ২ কোটি ৯২ লাখ ২৩ হাজার ২১৬ টাকা এভাবে এ দুই জ্বালানি তেলেই দৈনিক লোকসান মোট ৭৭ কোটি ৮৭ লাখ ১৫ হাজার ৯১৬.০০ টাকা।
[জনবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় জনগণের স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়]
গত মে ও জুন মাসে লোকসান ছিল প্রায় শতাধিক কোটি টাকা। এভাবে গত ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত বিপিসির প্রকৃত ভর্তুকি দাঁড়ায় ৮০১৪ কোটি টাকারও উপরে। যার পুরোটাই জনগণের কল্যাণে ব্যয় করেছে সরকার।
এখানেই শেষ নয়, আন্তর্জাতিক খাতের সঙ্গে তাল মেলাতে সর্বশেষ মূল্য সমন্বয়ে ডিজেলের মূল্য ১১৪ টাকা করা হলেও গড় হিসেবে প্রতি লিটারে খরচ ১২২.১৩ টাকা। অর্থাৎ প্রতি লিটারে এখনও ৮.১৩ টাকা লোকসান বিপিসিকে বহন করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ
মির্জা ফখরুলের সাইরেন ঘোষণার পরই নড়াইলে হিন্দুদের উপর তাণ্ডব
ডলারের বিপরীতে মুদ্রার দরপতন ঘিরে চলছে গুজব
এই দুর্যোগে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কী করছে: অপপ্রচার নয়, সত্যটা জানুন
[জনবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় জনগণের স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়]
আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক আগে দাম বাড়লেও শুধু জনগণের কথা বিবেচনা করে সরকার তেলের মূল্য বৃদ্ধি করেনি। যতদিন সম্ভব ছিল ততদিন সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির চিন্তা করেনি। কিন্তু বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের কথা এবং নিজেদের সুন্দর ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা সাময়িক। কেননা বিশ্ব পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও তেলের মূল্য রি-এডজাস্টমেন্ট করবে সরকার।
জনবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় জনগণের স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়। সুতরাং ভরসা রাখুন। সুন্দর আগামী গড়তে সহায়তা করুন।
আরও পড়ুনঃ
সরকারের কঠিন, কিন্তু সাহসী সিদ্ধান্ত’