অচিরেই বাংলাদেশ জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে হুমকি দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। ১৬ই নভেম্বর সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় সেচ্ছাসেবক দলের এক আলোচনা সভায় বক্তব্যে এই হুমকি দিয়ে তিনি নির্দলীয় সরকারের অধীনে সব দলের অংশ গ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নিতে সরকারকে আহ্বান জানান। অন্যথায় বিএনপি আর হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন,“পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জঙ্গি হামলা হচ্ছে। আমরা চাইনা বাংলাদেশেও এমনটা হোক। তবে শীঘ্রই নির্বাচন না দিলে অনুরুপ হামলা আমাদের দেশেও হতে পারে।”
তিনি আরও বলেন “আমরা কোন ছোট দল নই। আমাদের চেয়ারপরসনের হুকুম দিলে সারাদেশে যেকোন যায়গার দখল নিতে আমরা সক্ষম। আমদের সেই লোকবল আছে। আমাদের নেতাকর্মীদের সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য জন্য যদি দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটাতে হয়, তবে সেই দ্বায় সরকারের। আর দেশের জনগণকেও ত্যাগ স্বীকারের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।”
এসময় হাফিজের এই বক্তব্য শুনে উপস্থিত বেশকিছু নেতাকর্মীদের মাঝে অস্থিরতা দেখা দেয়। প্রায় দশ মিনিটের মত আলোচনা সভা বন্ধ থাকে। হাফিজের এই বক্তব্য একান্তই নিজের নাকি তারেক-খালেদাও অবগত আছেন এ নিয়েও অনেক কে আলোচনা করতে দেখা যায়।
পরে আবার সভা শুরু হলে হাফিজ উদ্দিন বলেন, “আপনারা অনেকেই যারা দ্বিধায় আছেন, তারা মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেন। লন্ডন থেকে দেশে ফিরেই আমাদের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এ ব্যাপারে আপনাদের স্পষ্ট দিক নির্দেশনা দিবেন। আর খালি হাতে সংগ্রাম নয়। গণতন্ত্রের স্বার্থে এবার আসল লড়াইয়ে নামতে হবে আমাদের।”
অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা
ও তার বক্তব্যে শীঘ্রই মানুষ বিদ্রোহী হয়ে দেশে এক অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন ।
এদিকে আওয়ামীলীগ নেতারা হাফিজের এই বক্তব্যের তীব্র সমালচনা করেছেন। এটাকে দেশের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন তারা। মাহবুব উল আলম হানিফ হাফিজের এই বক্তব্য কে দেশদ্রোহিতা বলে মন্তব্য করেছেন।
সেচ্ছাসেবক দলের আলোচনা সভায় সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি মুনির হোসেনের সভাপতিত্বে বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইফুল ইসলাম পটু, মারুফ আল হাসান, আসাদুজ্জামান নেসার, সাদরেজ জামান, আনু মো. শামীম, লিটন মাহমুদ, সাহাবুদ্দিন মুন্না, রফিক হাওলাদার, আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, নজরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
ওনার (হাফিজ) মাথার তর একটু ঢিলা আছে বলে মনে হচ্ছে।