বিএনপি আবারও প্রমাণ করলো তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি,ক্ষমতা দখলের লোভে জামায়াতকে পাশে চায় বিএনপি

0
97
জামায়াত

শেষমেশ দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত রাজনৈতিক সঙ্গী জামায়াতে ইসলামীর কাছেই ভরসা খুঁজছে বিএনপি। যুদ্ধাপরাধের দায়ে নিষিদ্ধ এই রাজনৈতিক দল নিয়ে এতদিন প্রকাশ্যে কিছু না বললেও, এবার মুখ খুলেছে বিএনপি। মঙ্গলবার (২৪ মে) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন দলটির স্থায়ী কমিটির এই সিদ্ধান্তের কথা জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল বলেন, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের রূপরেখা প্রণয়নে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। কারণ, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে বরাবরই আন্দোলনের কথা বলে আসছি আমরা। কিন্তু আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যায়নি। এক্ষেত্রে জামায়াতের অভাববোধ করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। তাই জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে’।

[বিএনপি আবারও প্রমাণ করলো তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি,ক্ষমতা দখলের লোভে জামায়াতকে পাশে চায় বিএনপি]

বিএনপির এমন সিদ্ধান্তকে ভালোভাবে নেয়নি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের মানুষ। বিজ্ঞজনরা বলছেন, বিএনপি আবারও প্রমাণ করলো তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। কারণ জামায়াত বাংলাদেশের স্বাধীনতায় প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছে। পাকিস্তানি হায়েনাদের পক্ষ নিয়ে ৩০ লক্ষ শহীদ আর ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমহানিতে সহায়তা করেছে। সরকারবিরোধী আন্দোলনের জন্য এমন একটি অপশক্তিকে সাথে নিয়ে যারা এগোতে পারে তাদের দ্বারা দেশ কখনই উপকৃত হবে না।

ইতিহাস বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বিএনপির হাত ধরেই স্বাধীন বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ পায় জামায়াত। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। ‘৭৫ এর ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃসংশভাবে হত্যা করে জেনারেল জিয়াউর রহমান প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে জামায়াতের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়।

আরও পড়ুনঃ সমাবেশের নামে জানুয়ারি মাস জুড়ে জ্বালাও-পোড়াওয়ের পরিকল্পনা বিএনপি-জামায়াতের

বিএনপি আবারও প্রমাণ করলো তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি,ক্ষমতা দখলের লোভে জামায়াতকে পাশে চায় বিএনপি]

জিয়ার সরকার এসময় গোলাম আযমকে পাকিস্তান থেকে দেশে ফেরার অনুমতি দেন। ১৯৭৯ সালের মে মাসে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ দেশে পুনরায় আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করে। পরবর্তী সময়ে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, সংখ্যালঘু নির্যাতন, দুর্নীতি, লুটপাটসহ নানা অপরাধ সংগঠিত করেছে বিএনপি-জামায়াত।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছে, ২০১৩ সালে হাইকোর্টের রায়ে নির্বাচন কমিশনে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ বলে ঘোষিত। প্রায় সব শীর্ষ নেতাই যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত। অনেকেরই ইতোমধ্যে বিচার-পর্ব শেষে ফাঁসিও কার্যকর হয়েছে। এমন একটি রাজনৈতিক দলের পরম মিত্র বিএনপি। এতদিন জনগণের চাপে জামায়াতের সাথে সম্পর্ক পরিস্কার না করলেও এবার বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে জানালো- জামায়াতকে তাদের দরকার। জামায়াতকে ছাড়া তারা আন্দোলন করতে পারছে না। তাহলে এটাই প্রমাণ করে জামায়াত- একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল। আর এমন দলকে সাথে নিয়ে যারা রাজনীতি করে তারাও- বাংলাদেশবিরোধী অপশক্তি।

আরও পড়ুনঃ

গর্ত থেকে বেরিয়ে আসছে জামায়াত, গোয়েন্দা নজরদারি শুরু

আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিএনপির গ্রহণযোগ্যতা এখন তলানিতে

সরকারের চলমান মেগা প্রকল্পের সফলতা দেখে নানাভাবে বিভ্রান্তি ছড়াতে মরিয়া মির্জা ফখরুল

comments

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here