বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী দল ছাড়ার পর দুই সাপ্তাহ না যেতেই এবার পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম এম শাহরিয়ার রুমী।
আজ বাংলাদেশ টাইমস কে তিনি জানান, কুরিয়ার করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কাছে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। ফরিদপুর জেলা কমিটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকেও তিনি ইস্তফা দিয়েছেন।
এম এম শাহরিয়ার রুমী বলেন “আমি মনে করি, মুক্তিযুদ্ধের শক্তি,আমরা যারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশকে স্বাধীন করেছিলাম,আজ আমাদের সবার এক হওয়া উচিৎ। দেশের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত যারা চক্রান্তে লিপ্ত তাদের সঙ্গে আর থাকব না।”
এতদিন বিএনপির সঙ্গে ছিলেন, তাহলে এখন কেন হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত নিলেন জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি আশাবাদী মানুষ। ভেবেছিলাম বিএনপি তাদের ভুলভ্রান্তি শুধরে নিয়ে আবার দেশের স্বার্থে রাজনীতি করবে। কিন্তু তা না করে নতুন করে বিদেশী নাগরিক হত্যার মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা করছে। শুধুমাত্র ক্ষমতার লোভে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে যে দল নিজের দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে প্রমাণে ব্যাস্ত, আদর্শগতভাবে সেই দলে থেকে রাজনীতি করা আমার পক্ষে সম্ভব না।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি যে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল, তাতে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি। পরে ওই নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়।
শাহরিয়ার রুমী আরও বলেন “ আমি বারবার দলীয় বিভিন্ন মিটিং এ স্বাধীনতার বিরোধী শক্তি জামায়াত কে জোট থেকে বাদ দেয়ার দাবী জানিয়েছিলাম। কিন্তু আমার দাবী সর্বদাই অগ্রাহ্য করা হয়েছে। শুধু আমি একা নই, দলীয় পর্যায়ের অনেক প্রভাবশালী নেতারাও জামায়াত কে জোটে না রাখার পক্ষে। এভাবে চলতে থাকলে আরো অনেকেই দল থেকে পদত্যাগ করবে।”
তাছাড়া বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার আর কোন সম্ভাবনা দেখেন না জানিয়ে রুমী বলেন, “একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক দল জামায়াতের কুক্ষিগত হয়ে গেছে। জোটে এখন আর খালেদা জিয়ার কথাই শেষ কথা না, নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির হাতে।” তারেক রহমান কে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “লন্ডনে বসে কখনো বিএনপির মত বড় দলকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এমতাবস্থায় শুধু আমি কেন, বিএনপির সাধারণ কর্মীরাও হতাশ।”
চলতি মাসের প্রথম দিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে দল ছেড়ে রাজনীতি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। তবে এ নিয়েও নানা মহলে নানা গুঞ্জন প্রচলিত আছে। ধারনা করা হয়, দলীয় কোন্দল এবং ক্ষোভ থেকেই শমসের মবিন পদত্যাগ করেছেন।