২০০১ থেকে ২০০৫ সাল টানা ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বিএনপি।কোটি কোটি টাকা খরচ করে দেশের বিরুদ্ধে লবিস্ট নিয়োগ করেছে তারা। লন্ডনে বসে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর জন্য হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূজা মণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ রেখে অপপ্রচার চালিয়েছে তারেক রহমান। যার প্রমাণ পাওয়া গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে। এবার আসন্ন নির্বাচনের আগে নিজেদের এসব অপকর্ম ঢাকতে জাতির পিতার পরিবার নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার, গুজব ছড়াচ্ছে তারেক রহমানের গুজব ফ্যাক্টরি।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মধ্যকার ইনোসেন্ট কথোপকথনের একটি অডিও ফাঁস হয়েছে। যা নিয়ে ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার চালাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত।বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে ইনফো সরকার-৩ প্রজেক্টের কাজ দেওয়া হয়েছে LTM (এলটিএম) নামে সজীব ওয়াজেদের একটি কোম্পানিকে। অথচ সেই কথোপকথন বিশ্লেষণ করে কোনো দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতির তথ্য পাওয়া যায়নি। এমনটাই জানিয়েছে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।এখানে মজার ব্যাপার হলো অর্ধ শিক্ষিত তারেক এবং তার মূর্খ গুজব ফ্যাক্টরির সদস্যরা জানেই না LTM (এলটিএম) কি।
এখানে বলে রাখা প্রয়োজন- এলটিএম কোনো কোম্পানির নাম না। সরকারের টেন্ডার প্রক্রিয়া তিন ধরণের। ক. ওটিএম ( ওপেন টেন্ডার মেথড) খ. ডিপিএম ( ডিরেক্ট পারচেজ মেথড) এবং গ. এলটিএম ( লিমিটেড টেন্ডারিং মেথড)। এই তিনটিই আইনসিদ্ধ প্রক্রিয়া।সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের মধ্যকার কথোপকথনে এলটিএমের কথা বলা হয়েছে। ইন্টারনেট সুবিধা তৃণমূলের জনগণকে পৌঁছে দেয়ার জন্য সজীব ওয়াজেদ জয় ইনফো সরকারের তিনটি প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করেছেন যথাক্রমে ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৭ সালে। তিনটিই এলটিএম পদ্ধতিতে হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ অতীত কুকীর্তি ঢাকতেই গুজব ছড়াচ্ছে বিএনপি
এর কারণ হচ্ছে, যেসব প্রজেক্ট যখন কোনো দেশের অর্থায়নে হয় তখন সেখানে শর্তই থাকে টেন্ডারগুলো ঐদেশের কোম্পানির মধ্যে হতে হবে। এটাই হচ্ছে এলটিএম।রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, খালেদা জিয়া এবং তার দুই পুত্র তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর বিভিন্ন দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে বহির্বিশ্বে লজ্জাজনক এক পরিচিতি পেয়েছিল বাংলাদেশ।