গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠকের পর এবার আগামী দিনের বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে ভাবছেন খালেদা। তবে খালেদার করা খসড়া তালিকায় তারেক রহমানের পরিবর্তে সর্বাগ্রে ঠাঁই পেয়েছেন তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি। আর এ খবর লন্ডনে তারেকের কাছে পৌঁছাতেই তিনি মনঃক্ষুণ্ণ হয়ে শর্মিলাকে মাইনাস করতে নতুন ফন্দি আঁটতে শুরু করেছেন।
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, অন্যান্য বারের চেয়ে এবারের বিষয়টিকে ভিন্ন চোখে দেখছেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। বাসায় এসে দলীয় নেতৃবৃন্দ ও পারিবারিক সূত্রে তিনি জেনেছেন, তারেক তার মুক্তির ব্যাপারে ফলপ্রসূ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। উপরন্তু তার মুক্তির কথা বলে করেছে বাণিজ্য। কিন্তু এই স্রোতে গা ভাসায়নি শর্মিলা রহমান সিঁথি। সে বরং মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন তার মুক্তির জন্য। তাই সব বিবেচনা করে খালেদা দলের অনাগত দিনের নেতৃত্বভার অর্পণে তারেকের চেয়ে শর্মিলা রহমান সিঁথিকেই এগিয়ে রাখছেন বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জিয়া পরিবারের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, খালেদা জিয়া এখন কোকোর স্ত্রী শর্মিলার উপরে সম্পূর্ণ আস্থাশীল। কারণ, তিনি হাসপাতালে থাকা অবস্থায় শর্মিলা সব সময় দেশে এসে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন। খোঁজখবর নিতেন। তাছাড়া তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমান দীর্ঘদিন ধরে দেশের বাইরে অবস্থান করা ও খালেদার কারামুক্তিতে ভূমিকা না রাখার কারণে জিয়া পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে শর্মিলাকে নিয়েই নতুন করে ভাবছেন বিএনপি নেত্রী। আর এতে নারাজ তারেক রহমান। তিনি শর্মিলাকে হটিয়ে বিএনপির নিয়ন্ত্রণ নিজের কাছে রাখতে ষড়যন্ত্রের নতুন ছক কষছেন বলে গুঞ্জন উঠেছে।