খোয়াব ভবনে তারেক-মামুনদের হটকেক ছিলেন শামা-বেবি-নিশো-শায়লারা

0
347
খোয়াব ভবন

২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর একের পর এক অপকর্ম করে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বিএনপি। তাদের নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের সেসব অপকর্মের কথা কম-বেশি সবাই জানেন। এবার বেরিয়ে এলো নতুন এক খবর।

জানা গেছে, তারেক রহমানের ব্যবসায়ী বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুন ওরফে খাম্বা মামুনে গাজীপুরের বাগানবাড়ি খোয়াব ভবনে অনুষ্ঠানের নামে আয়োজন করা হতো উদ্দাম নাচ ও মদ উৎসবের। আর সেখানে নিয়মিত যাতায়াত করতেন বিএনপির বিভিন্ন জ্যেষ্ঠ নেতা ও ব্যবসায়ীরা।

সেখানে তাদের মনোরঞ্জনে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত ছিলো বিভিন্ন বয়সী একঝাঁক নারী। আর এসব কর্মকাণ্ড থেকে উপার্জিত অর্থ ব্যবহৃত হতো জঙ্গিবাদে পৃষ্ঠপোর্ষকতাসহ দেশবিরোধী বিভিন্ন ধ্বংসাত্মকমূলক কাজে।খোয়াব ভবন

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে কট্টর বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পলাতক পুত্র তারেক রহমানের ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বাগানবাড়ি ‘খোয়াব ভবন’-এ প্রায় প্রতি রাতেই বসতো মদ, নাচ ও জুয়ার আসর।

সেখানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মনোরঞ্জনে সময়ক্ষেপণ করতো বিভিন্ন বয়সী নারীরা। ইতিমধ্যে শামা ওবায়েদের গোপন ভিডিও নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। শামা ওবায়েদের আরেক সঙ্গী ছিলো অদিতি সেনগুপ্ত। তিনি গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বান্ধবী ছিলেন।

এর বাইরেও তার একটি পরিচয় আছে, তিনি চ্যানেল ওয়ানের কর্মকর্তা ছিলেন। পরবর্তীতে মামুনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন প্রেমের সম্পর্কে। শুধু তাই-ই নয়, তারেক রহমানের সঙ্গেও তার উষ্ণ-অনৈতিক সম্পর্ক ছিল।

অনুসন্ধানে উঠে আসে আরেকজনের নাম। যার কণ্ঠের মাদকতায় দেশের একটি বড় অংশ বিমোহিত, তিনি আর কেউ নন বেবি নাজনীন। তিনিও সেখানে নিয়মিত যাওয়া-আসা করতেন। এমনকি অখণ্ড অবসরে অন্যান্য খদ্দেরদের মনোরঞ্জনে তৎকালীন শেরাটন হোটেলে রাত্রিযাপন করতেন।

আরো পড়ুনঃ ‘খোয়াব ভবন’ গাজীপুরের এক দুঃস্বপ্নের নাম

এদিকে কম-বেশি সবাই চিত্রনায়িকা জনাকে চেনেন। তিনি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলের হাইরেটেড একজন এস্কর্ট। রূপের মোহে আবেশিত করে তিনি অনেক ধণাঢ্য ব্যক্তিকে রাস্তার ফকির করে ছেড়েছেন। তার বাসভবনে বিএনপির প্রভাবশালীর মহলের পাশাপাশি অনেক মন্ত্রী ও প্রভাবশালী নেতার অবাধ যাতায়াত ছিল।

একই পথে হেঁটেছেন চিত্রনায়িকা শায়লা ও টিভি উপস্থাপিকা ফারহানা নিশো। তারা নিজেদের যৌবনের জালে মানুষকে ফাঁসিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। ভেঙেছেন অনেকের সাজানো সুখের সংসার। এদের অনেকেই এখন অন্তরালে। আবার অনেকেই দেশছাড়া। কেউবা চালিয়ে যাচ্ছেন চুপিসারে এখনো।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, অবৈধ সকল কাজের চর্চাই হয় বিএনপির ঘরে। যার স্বচ্ছ ও উত্তম উদাহরণ এই ঘটনাগুলো। তারা নারীদের ব্যবহার করে নিজের স্বার্থ হাসিল করতো টার্গেটদের কাছ থেকে।

comments

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here