বিএনপির পলাতক নেতা তারেক রহমান এবং জামায়াতের ফাঁসি হওয়া যুদ্ধাপরাধীদের পরিবারের সম্মিলিত অর্থায়নে সৃষ্ট গুজব সেলের বেতনভুক্ত কর্মচারীদের মাঝে দেখা দিয়েছে অনৈক্য। সুখের সংসারে দুঃখের আগুন জ্বলছে।
বিদেশে পলাতক কথিত সাংবাদিক তাসনিম খলিল এবং রাজাকারপুত্র ইলিয়াস হোসেনের মধ্যে চরম দ্বন্দ্ব বিরাজ করছে। একে অপরের অপপ্রচারের গোমর ফাঁস করা শুরু করেছেন।
ইলিয়াস যে বিএনপি-জামায়াতের টাকায় অনেক খেটে-খুটে ইউটিউবে বাংলাদেশের সরকারবিরোধী অপপ্রচার চালান, গুজব ছড়ান তা প্রকাশ্যেই বলতে শুরু করেছেন একই গুজব সেলের সদস্য তাসনিম খলিল। এমনকি রাজাকারপুত্র ইলিয়াসকে ‘বাটপার’ এবং ‘জালিয়াত’ বলেও গালি দিয়েছেন তসনিম।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি সূত্র জানিয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককের আমেরিকায় প্রবেশ নিয়ে মিথ্যা গুজব ছড়ায় ইলিয়াস। সেই গুজবের প্রতিবাদ জানান তাসনিম খলিল।
শুধু তাই নয়, তথ্য-প্রমাণসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইলিয়াসকে বাটবার বলে সম্বোধন করেন। এরপরই তাসনিম খলিল আর জুলকারনাইন সামির গোপন ভিডিও ফাঁসের হুমকি দেন ইলিয়াস। কথিত ভিডিওটি যে বানোয়াট নয়, এটি টের পেয়েই ইলিয়াসকে রোস্টিং করা থেকে নিজেকে বিরত রাখেন।
সূত্রটি আরো জানায়, রাজাকারপুত্র এবং দেশে বালক সম্ভোগের দায়ে অভিযুক্ত ইলিয়াস আগে থেকেই জানতেন তাসনিম-সামি দুজনই ’গে পার্টনার’ এবং তাদের মাঝে শারীরিক সম্পর্ক চলছে অনেক আগে থেকেই।
আরও পড়ুনঃ বার্গম্যান ও খলিল: বিপরীত মেরুর দুই ব্যক্তি একজোট হলো কেনো?
তাসনিম-সামির সাথে সুসম্পর্ক থাকাকালীন বেশ কিছু ভিডিও হাতিয়ে নেন ইলিয়াস। আর সেই ভিডিও ফাঁস করার হুমকি দিয়েই তাসনিমকে থামাতে সক্ষম হন ইলিয়াস। ভিডিও ফাঁস হলে রক্ষণশীল মনোভাব পোষণকারী বাংলাদেশি সমর্থকরা মুখ ফিরিয়ে নেবে তাসনিম খলিলের বকোয়াজ থেকে, এটা ভালোই বুঝতে পারেন তিনি।
উল্লেখ্য, তাসনিম খলিলের দেওয়া তথ্য-উপাত্তগুলো ইতিমধ্যে প্রমাণ করেছে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা তৈরি করতে ইসকন নিয়ে মিথ্যাচার করেছিলেন রাজাকারপুত্র ইলিয়াস।
সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা রাশেদ খানের হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামি টেকনাফ থানার সদ্য সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে ‘ভারতীয় নাগরিক’ সাজানোর চেষ্টা করেছিল ইলিয়াস। যদিও এর আগেই ফেসবুকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘ফ্যাক্ট চেক’ ইলিয়াসের এসব গুজবকে মিথ্যাচার বলে আখ্যায়িত করেছে।