বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যখন দীর্ঘদিনের পুরনো অসুখে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন, ঠিক তখনই বিএনপির দায়িত্ব নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন রুমিন ফারহানা। এজন্য অনলাইনে জনমত যাচাইয়ের জন্য বাণী সম্বলিত পোস্টার ছাড়া হয়েছে তার পক্ষ থেকে। এনিয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের একটি অংশ ক্ষুব্ধ হলেও, একটি অংশের সমর্থন পাচ্ছেন তিনি।
বিএনপির একজন সম্পাদক জানান, ম্যাডামের অবস্থা ভালো না। বিদেশে নেওয়ার মতো অবস্থাও নেই। এই খবর চিকিৎসকদের মাধ্যমে প্রভাবশালী নেতারা জেনে গেছেন। এরপরেই ভবিষ্যত নেতৃত্বের বিষয়ে একটা প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।
দীর্ঘদিন নিয়মিত অ্যালকোহল পানের অভ্যাসের কারণে লিভার নষ্ট, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপ, আর্থাইটিস এবং কান্সার সংক্রমণের কারণে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অস্থিতিশীল। চিকিৎসকরা বলছেন, তাকে কৃত্রিম যন্ত্রপাতি ও অক্সিজেন দিয়ে স্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। আইসিইউ থেকে বের করার মতো শারীরিক অবস্থা নেই তার। স্থানান্তরের চেষ্টা করলে হিতে বিপরীত হবার সম্ভাবনাই বেশি।
তবে বিএনপি নেতারা এসব সত্য জানার পরেও, খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর নামে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার অপরাজনীতি শুরু করেছেন।
এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে রাজনীতি চাঙ্গা করার কৌশল নিয়েছেন সিনিয়র নেতারা। এজন্য চারজন সিনিয়র নেতার পক্ষ থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পেশীশক্তি প্রদর্শনের নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। তাদের বলা হয়েছে, যেকোনো সময় মারা যেতেন পারেন দলের প্রধান। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যেনো নিজ নিজ এলাকায় সরকারকে দোষারোপ করে নাশকতা শুরু করা হয়।
তবে গোয়েন্দা সংস্থার কাছেও পৌঁছে গেছে এই তথ্য। তাই যেকোনো নাশকতা ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আরো পড়ুনঃ