খালেদা জিয়ার সাবেক মন্ত্রী ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির নতুন কমিটির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের ইন্ধনে দেশজুড়ে অস্থিরতা ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তর উৎসব দূর্গাপুজাকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় সহিংসতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত। এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের কেন্দ্র হিসেবে এবার নির্বাচন করা হয়েছে কুমিল্লাকে। এরই অংশ হিসেবে সেখানকার একটি মণ্ডপে কোরআন শরীফ রেখে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসল্লিদের ধর্মীয় ভাবাবেগ উস্কে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
জানা যায়, তারেক রহমানের নির্দেশে গত আগস্টে আমানকে আহ্বায়ক করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়। সরকারকে বিপদে ফেলতে দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা সৃষ্টির বিশেষ অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয় তাকে। এজন্য টার্গেট করা হয় এই শারদীয় দূর্গাপুজাকে।
সেই এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য, গত এক সপ্তাহ থেকেই অনলাইনে উত্তেজক বক্তব্য ছড়িয়ে যাচ্ছেন আমান উল্লাহ আমান। তার উস্কানির পর, ১০ অক্টোবর পুরান ঢাকার একটি স্থানে পুজার আয়োজনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি করে বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা। এরপর ১৩ অক্টোবর সকাল থেকে সহিংসতা ছড়ানো শুরু হয় কুমিল্লায়।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মধ্যরাতে কে বা কারা একটি কোরআন শরীফ রেখে যায় মণ্ডপে। সেটি নজরে আসার পরেই ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে পুলিশকে তা অবহিত করা হয়। কিন্তু যারা সেখানে কোরআন রেখেছিল, তাতা ততক্ষণে সেই ছবি তুলে নিয়ে ফেসবুকে ছড়ানো শুরু করে। আতঙ্কিত হয়ে তাই আর পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআনে হাত দেওয়ার সাহস পায়নি মণ্ডপের কেউ। পরে দিনের বেলায় পুলিশের উপস্থিতিতে সংরক্ষণ করা হয় পবিত্র কোরআন শরীফকে।
এদিকে দিনব্যাপী তাণ্ডব চালানোর উদ্দেশ্যে, রাতভর স্থানীয় কয়েকটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে উত্তেজিত করে তোলে বিএনপি-জামায়াতের এজেন্টরা। সকাল বেলা তারা হামলা চালায় মন্দিরের সামনে। এমনকি তাদের অনেকে ফেসবুকে লাইভ করে উত্তেজক বক্তব্য দিতে থাকে। যার ফলে, পুরো ঘটনা না জেনেই, দেশের বিভিন্ন স্থানে উত্তেজিত হতে শুরু করেন অনেক সরলপ্রাণ মুসল্লি।
উল্লেখ্য যে, এই মাসের শুরু থেকেই বিভিন্ন বৈঠকে উত্তেজক বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন আমান উল্লাহ আমান। এমনকি সেসব বক্তব্য ফেসবুক-ইউটিউবেও ছড়িয়ে দেন তিনি। এসব বক্তব্যের মাধ্যমে দেশজুড়ে আগুন জ্বালানোর আহ্বান জানিয়ে মানুষকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করছেন এই বিএনপি নেতা।