ইভ্যালির মাধ্যমে লন্ডনে তারেক রহমানের কাছে ১০ মিলিয়ন ডলার পাচারের তথ্য পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রতিষ্ঠানটির দায়-দেনার বিষয়ে যাবতীয় তথ্য জানানোর সময় প্রতিষ্ঠানটির সিইও মো. রাসেল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবের কাছে ইভ্যালির সিইও রাসেল জানান, তারেক রহমানের পরামর্শে লন্ডনে এই অর্থ পাঠিয়েছেন তিনি। বিনিময়ে রাসেলের এক আত্মীয়ের নামে লন্ডনের উপকণ্ঠে ব্রাইটন রোডের পাহাড়ি পরিবেশে একটি হোটেল ও মোটেলের মালিকানার শেয়ার দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলন তারেক। কিন্তু ১০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার পর জানা যায়, তারেক রহমান ওই টাকায় নিজেই একটি নাইটক্লাব কিনেছেন।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল আরো জানান, তারেক রহমান বলেছিলেন যে- বিএনপি ক্ষমতায় এলে ইভ্যালিকে শেয়ার মার্কেটে ঢোকার সুযোগ দেওয়া হবে। তাহলে কমপক্ষে ১২ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকার মূলধনী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতো ইভ্যালি। এটি বাস্তবায়িত হলে ক্রেতা-বিক্রেতা কারো কাছে আর দায় থাকতো না ইভ্যালির পরিচালনা পর্যদের। কিছুদিন পর শেয়ার মার্কেটে ধস দেখিয়ে শেয়ারহোল্ডারদের ওপর দিয়ে এই অর্থের হিসেব মিটিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। একইসঙ্গে অবশিষ্ট কয়েক হাজার কোটি টাকা নিরাপদে বিদেশে সরিয়ে নেওয়ার গ্যারান্টিও দিয়েছিলেন তারেক রহমান।
জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল আরো জানান, তারেক রহমানের সুপারিশের কারণে ইভ্যালিতে সিনিয়র ব্যবস্থাপক পর্যায়ে ১০ লাখের বেশি বেতনে ৬ জন ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তাদের সেসব টাকাও বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তারেক রহমানের কাছে চলে যেতো। লন্ডনের দুটি ক্যাসিনোর মাধ্যমে এসব টাকা গ্রহণ করতো তারেক।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইভ্যালির রাসেল জানিয়েছে, চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইভ্যালির দেনা দাঁড়িয়েছে ৪০৩ কোটি টাকা। এরমধ্যে নানা পণ্য বাবদ গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম নেওয়া হয়েছে ২১৪ কোটি টাকা এবং গ্রাহক ও অন্যান্য কোম্পানির কাছে বকেয়া আছে ১৯০ কোটি টাকা। এরমধ্যে তারেক রহমান ও তার লোকদের বেতনের বাবদই পাচার হয়ে গেছে প্রায় ১২৫ কোটি টাকা।’